পঞ্চায়েত নির্বাচনের তিনদিন আগে গ্রেটার সুপ্রিমো মহারাজ অনন্ত রায়ের সঙ্গে দেখা করলেন তৃণমূল নেতা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার দুপুরে চকচকা এলাকায় মহারাজার বাড়িতে গিয়ে দেখা করেন। শুভেচ্ছা জানানোর পাশাপাশি অনন্ত মহারাজের পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করতে দেখা যায় তাঁকে।
যদিও এই সাক্ষাৎ সম্পূর্ণ সৌজন্যমূলক – দাবি তৃনমুল নেতা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় ও গ্রেটার সুপ্রিমো অনন্ত মহারাজের। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পৃথক কোচবিহার রাজ্যের দাবিকে সামনে রেখে যারা দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছেন তাদের মধ্যে অন্যতম মহারাজ অনন্ত রায় নেতৃত্বাধীন গ্রেটার কোচবিহার পিপলস অ্যাসোসিয়েশন।
গত ২০১৯ ও ২০২১ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে এই গোষ্ঠীর সমর্থন ছিল বিজেপির দিকে। এমনকি বিজেপির নির্বাচনী প্রচারেও দেখা গিয়েছল অনন্ত মহারাজকে। এই দুই নির্বাচনে ফল ভালো হয়েছিল বিজেপির। আর এই বিষয়টি বুঝতে পেরে গত বছর গ্রেটারের উদ্যোগে আয়োজিত চিলারায়ের জন্মদিবস অনুষ্ঠানে এসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
পরবর্তীতে গত এক বছরে প্রতিনিধি পাঠিয়ে গ্রেটার সুপ্রিমোর সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পালটা, বিজেপির তরফে অনন্ত মহারাজার সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তোলার জন্য বিজেপি বিধায়ক থেকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিশীথ প্রামানিক যোগাযোগ রেখে চলছেন।
দিন দুই আগে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিশীথ প্রামানিক অনন্ত মহারাজের বাড়িতে গিয়ে দেখা করে এসেছেন। তারপর এদিন স্থানীয় তৃনমূল নেতাদের সাথে নিয়ে গ্রেটার সুপ্রিমো অনন্ত মহারাজের বাড়িতে আসেন তৃণমূল নেতা রাজীব ব্যানার্জী। ফুল দিতে শুভেচ্ছা জানানোর পাশাপাশি অনন্ত মহারাজের পায়ে হাত দিয়ে প্রনাম করেন।
তাদের মধ্যে বেশ কিছুক্ষণ আলোচনাও হয়। তৃণমূল নেতা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘অনেক দিন মহারাজার সঙ্গে দেখা করার পরিকল্পনা ছিল। পঞ্চায়েত ভোটের প্রচারে এসেছিলাম। তাই মহারাজার সঙ্গে দেখা করলাম।’ সৌজন্যমূলক সাক্ষাৎকার। রাজনীতির কোনও ব্যাপার নেই বলে দাবি তাঁর। অপরদিকে, গ্রেটার সুপ্রিমো অনন্ত মহারাজ বলেন, ‘ওঁকে আমি চিনি না। দেখা করতে চেয়েছিলেন। দেখা করেছি। সৌজন্যমূলক আলোচনা হয়েছে।’