প্রসঙ্গত, গত ১৫ জুন রাজনৈতিক সংঘর্ষে উত্তাল হয়ে উঠেছিল ভাঙড়ে বিজয়গঞ্জ বাজার। মারা গিয়েছিলেন তিনজন। একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তোলে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস ও আইএসএফ। পরবর্তী সময়ে সওকত মোল্লা ও নওশাদ সিদ্দিকিকে একসঙ্গে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়েও একে অপরকে খোঁচা দিতে দেখা যায়। তারপর থেকেই প্রশ্ন উঠতে থাকে নির্বাচনের আগেই যদি এই অবস্থা হয়, তাহলে ভোটের দিন কী হতে পারে!
বাউলের বার্তা
যদিও এদিন সেই বিজয়গঞ্জ বাজারেই বৃহস্পতিবার সংগীত পরিবেশন করেন স্বপন বাউল। তিনি বাউল গানের মাধ্যমে শান্তি ও সম্প্রীতির বার্তা দেন। পথ চলতি অসংখ্য মানুষ ভিড় করেন তাঁর গান শোনেন। স্বপন দত্ত বাউল বলেন, ‘ভোটের দিন যাতে হানাহানি মারামারি রক্তপাত না হয় সেজন্যই আমি বর্ধমান থেকে এই ভাঙড়ে ছুটে এসেছি। আসার সময় অনেকেই আমাকে সাবধান করেছেন। ভাঙড় যাওয়া মানে জীবনের ঝুঁকি। সেই জীবনের ঝুঁকি নিয়েই ভাঙড়ে এসেছি। কিন্তু এখানে এসে মন ভরে গিয়েছে। বাইরে থেকে যেমন শুনেছিলাম তেমন নয়। এই ভাঙড়ে শান্তির ভোট হবে, সেটাই আমার আশা।’
অন্যদিকে এক সাংবাদিক বৈঠকে এদিন ভাঙড় নিয়ে মুখ খোলেন তৃণমূলের শীর্ষ নেতা তথা ডায়মন্ডহারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। ভাঙড়ের অশান্তি সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে অভিষেক বলেন, ভাঙড় বলে নয়, আমার চাই সব জায়গাতেই শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হোক। ভাঙড়ে যে ঘটনা ঘটেছে তা অবঞ্ছিত, সেটা না ঘটলে বেশি খুশি হতাম।’ প্রসঙ্গত শুধু ভাঙড় নয়, দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিং, বাসন্তী, কুলতলি, কুলপি-সহ বেশকিছু জায়গায় পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র দফায় দফায় ছড়িয়েছে অশান্তি।