যেমন, পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় চলতি বছরের মে মাস দেশি মদ বিক্রি হয়েছে ১৯,০৫৭,৯৪ লিটার। বিদেশি মদ বিক্রি হয়েছে ৬,৬৪০,০৩ লিটার, বিয়ার বিক্রি হয়েছে ১৮, ৪৮৯,৯২ লিটার। জুন মাসে দেশি মদ বিক্রি হয়েছে, ১৯, ১৬, ১৫৮ লিটার। বিক্রি বেড়েছে সব মদেরই। জেলা আবগারি দফতর সূত্রে খবর, জুনে মদ বিক্রি হয়েছে প্রায় ১২১ কোটি ৫৯ লাখ ৭৫ হাজার ৮৭০ টাকার। সেখানে মে মাসে মদ বিক্রি হয়েছে, ১১৮ কোটি ৫৬ লাখ ৩৭ হাজার ১৭৪। একাধিক জেলাতেই মে মাসের থেকে জুন মাসে মদ বিক্রি বেড়েছে অনেকটাই।
উত্তরবঙ্গের জেলাগুলির কী অবস্থা? উত্তর দিনাজপুরে আবগারি দফতরের এক কর্তা বলেন, গতবারের চেয়ে এবার দেশি মদের ক্ষেত্রে রাজস্বের পরিমাণ একই থাকলেও বিদেশি মদের ক্ষেত্রে ২% ও বিয়ারের ক্ষেত্রে ৩৪% রাজস্বের পরিমান বেড়েছে। স্বাভাবিকভাবেই মদ বিক্রি যে বেড়েছে সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই।
জুলাই মাসের শুরুতে আবার মদ বিক্রি বেড়েছে অনেকটাই। যেমন, গত ৩ তারিখ পূর্ব মেদিনীপুরে মদ বিক্রি হয়েছে মোট ৪ কোটি ৫৪ লাখ ৩৭ হাজার টাকায়। শুধু হাওড়া গ্রামীণেই গত ৪ তারিখ মদ বিক্রি হয়েছে ১ কোটি ২২ লাখ ৪৮ হাজার টাকা। কোচবিহারে গত ৩ তারিখ মদ বিক্রি হয়েছে ২ কোটি ৯ লাখ ৪২ হাজার টাকার। একাধিক জেলার আবগারি দফতরের কর্তারা মানছেন, মদ বিক্রি পঞ্চায়েতের আগে বেশ খানিকটা যে বেড়েছে সে বিষয়ে সন্দেহ নেই।
আজ, বৃহস্পতিবার থেকেই পঞ্চায়েত ভোটের জন্য জেলায় জেলায় বন্ধ থাকবে মদের দোকান, খোলা যাবে না পানশালাও। বিকাল ৫টার পর থেকেই যে সব জায়গায় পঞ্চায়েত ভোট সেখানে এই নিয়ম লাঘু হচ্ছে। এমনকী হোটেল-রিসর্টে মদ পরিবেশনও বন্ধ রাখতে হবে। সঙ্গে পুনর্নিবাচন হওয়ার দিন সেই এলাকায় বন্ধ থাকবে দোকান। পাশাপাশি ভোটের ফল ঘোষণার দিনেও বন্ধ থাকবে মদের দোকান।
যদিও বিরোধীরা বলছেন, ‘ যাঁদের যা কেনার তা তো হয়েই গিয়েছে। সব মজুত করা আছে। শাসকদল গতবারও মদ-মাংস খাইয়ে ভোটার প্রভাবিত করার চেষ্টা করেছে। জঙ্গলমহলেই মানুষ তা রুখে দিয়েছিল। এবারও তা হবে। ’ শাসকদল যদিও এই অভিযোগ মানতে নারাজ। তবে আবগারি দফতরের কর্তাদের একাংশ মানছেন, ভোটের জন্য মদ বিক্রি কিছুটা বেড়েছে এ নিয়ে সন্দেহ নেই।