আদালতের নির্দেশমতো কেন্দ্রীয় বাহিনী এবং সশস্ত্র পুলিশ কোন বুথে কত সংখ্যায় থাকবে, তার রূপরেখা তৈরির দায়িত্ব স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের নোডাল অফিসার, বিএসএফের আইজি এসপি বুধাকোটিকে দেওয়া হয়েছিল। এদিন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা তাঁকে চিঠি দিয়ে জানতে চেয়েছেন, এই রূপরেখা তৈরির কাজ কতটা হয়েছে। প্রতি বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী ও রাজ্য পুলিশের ন্যূনতম এক জন করে রাখার ফর্মুলা তৈরি করে দিয়েছিল হাইকোর্ট।
নিয়ম মতো ভোটের কাজে মোতায়েন করার জন্য আগামীকাল, শুক্রবার সকাল দশটার মধ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে জেলায় জেলায় পৌঁছাতে হবে। তার আগে ওই বাহিনী এসে পৌঁছাবে কি না, তা নিয়েই ধন্দ তৈরি হয়েছে। তবে পঞ্চায়েত ভোটে প্রার্থীদের নিরাপত্তা ও তৃণমূল স্তরে বাহিনী মোতায়েন সংক্রান্ত অধীর চৌধুরীর আবেদন এদিন খারিজ করে দিয়েছে হাইকোর্ট।
কমিশন সূত্রের খবর, কেন্দ্র তাদের জানিয়েছে, বিশেষ ট্রেনে বাহিনী আসছে। শুক্রবার রাতের মধ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী পৌঁছালেও ভোটের দিন সকালে সরাসরি তাদের বুথে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হবে। তবে বাহিনী নিয়ে এই টালবাহনায় বিরক্ত কমিশন। সূত্রের খবর, ৪৮৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনীর মধ্যে কুড়িটি রাজ্যের ১৬২ কোম্পানি সশস্ত্র পুলিশ রয়েছে।
এই তালিকায় তামিলনাড়ু, কেরালা, কর্নাটক, তেলঙ্গানা, অন্ধ্রপ্রদেশের ৩১ কোম্পানি সশস্ত্র পুলিশ রয়েছে। এছাড়াও মহারাষ্ট্র, গোয়া ও গুজরাটের ২৩ কোম্পানি সশস্ত্র পুলিশ রয়েছে। বিশেষ ট্রেনে এই বাহিনীর রাজ্যে পৌঁছানোর কথা। কিন্তু বাহিনী রাজ্যে পৌঁছালেও এত তড়িঘড়ি তাদের বুথে ডিউটি দেওয়া যাবে কি না, তা নিয়ে সংশয়ে কমিশনের একাধিক কর্তা।
যেমন, পূর্ব বর্ধমানে অন্ধ্রপ্রদেশ পুলিশ, পশ্চিম মেদিনীপুর ও মুর্শিদাবাদে গুজরাটের পুলিশ, নদিয়ায় কর্ণাটক, কেরালা ও তামিলনাড়ুর সশস্ত্র পুলিশকে ভোটের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তারা সঠিক সময়ে পৌঁছাবে কি না, পৌঁছালেও সেখানকার আবহাওয়ার সঙ্গে অভ্যস্ত হয়ে ডিউটিতে যোগ দিতে পারবে কি না–সেটাও একটা বড় প্রশ্ন। ভোটের দিন পূর্ব মেদিনীপুর ও হুগলিতে কলকাতা পুলিশের দু’হাজার করে, পূর্ব বর্ধমানে দেড় হাজার–সহ কলকাতা পুলিশের ১২ হাজারের মতো ফোর্স পাঠানো হচ্ছে। ইতিমধ্যে একটি মামলায় এদিন ভোটগণনা কেন্দ্রেও কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।