উল্লেখ্য, ভোটের আগে ইতিমধ্যেই কেশপুর পঞ্চায়েত সমিতি দখল করে নিয়েছে তৃণমূল। ৪৫টি আসনের মধ্যে ৩০টি তে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়লাভ করেছে তৃণমূল। গ্রাম পঞ্চায়েতের ৩০৫টি আসনের মধ্যে ২৪৫টি আসন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়লাভ করেছে তৃণমূল। তবে জেলা পরিষদের ৩টি আসনেই লড়াই হচ্ছে।
তৃণমূল অবশ্য দাবি করছে বিরোধী শুন্য হবে কেশপুর। এদিন বিকেলের এই বিজয় মিছিলে দেখা যায় প্রচুর মানুষের ভিড়। সঙ্গে ছিলেন দলের নেতা কর্মীরাও। মিছিলে দলের কর্মী সমর্থকদের উচ্ছ্বাস ছিল চোখে পড়ার মতো। উল্লেখ্য, বিরোধীরা অনেকেই মনোনয়ন দাখিল করতে পারেনি।
স্বাভাবিকভাবেই গ্রাম পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতি থেকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়লাভ করেছে তৃণমূল। এই বিষয়ে তৃণমূল নেতা মহম্মদ রফিক বলেন, ‘কেশপুরে পঞ্চায়েত সমিতির আসনসংখ্যা ৪৫টি। তার মধ্যে ৩০টি তে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়লাভ করেছে তৃণমূল। সংখ্যাগরিষ্ঠতার নীচে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন বিরোধীরা। স্বাভবিকভাবেই গ্রাম পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতি তৃণমূলের দখলেই থাকছে। সেই কারণে বিজয় মিছিল এবং আবির খেলা হল।’
বিরোধীদের অবশ্য অভিযোগ, রীতিমতো বেছে বেছে বিরোধী প্রার্থীদের ভয় দেখানো হয়েছে। প্রাণভয়ে বিরোধী প্রার্থীরা জেলার জায়গায় মনোনয়ন পত্র জমা দিতে পারেননি। আর, তার ফলেই কেশপুরের মতো জায়গায় শাসক দল বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় নিশ্চিত করেছে। যদিও শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের বক্তব্য, বিরোধীরা আসলে প্রার্থীই খুঁজে পায়নি।
তার ফলেই প্রার্থী দিতে পারেনি। আর, উলটে শাসক দলের বদনাম করছে। যদিও বারবার অভিযোগ এসেছে, মিডিয়ার ক্যামেরায় ধরা পড়েছে, রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে মনোনয়ন পত্র জমা করাকে কেন্দ্র করে হিংসার ছবি। সেই হিংসার অঙ্গ হিসেবে কোথাও প্রার্থী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। কোথাও আবার পুলিশকর্মীদের লক্ষ্য করে প্রচুর বোমা পড়েছে।
কোথাও আবার বিরোধী প্রার্থীদের মারধর করা হয়েছে। আর এই কারণেই অনেক জায়গায় বিরোধীরা মনোনয়ন জমা দিয়েও তুলে নিয়েছেন বলে জানাচ্ছেন বিরোধী দলগুলির নেতারা। যদিও এসব কথাতে এই মুহূর্তে আমল না দিয়ে বিজয় মিছিলে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করতেই ব্যস্ত তৃণমূল নেতা কর্মীরা।