এদিকে সূত্রের খবর, সায়নী ঘোষ যে নথি জমা দিয়েছেন তাতে সন্তুষ্ট নয় ED। জানা গিয়েছে, অভিনেত্রী তথা যুব তৃণমূল নেত্রীর জমা দেওয়া তথ্য ‘অসম্পূর্ণ’ এমনটাই মনে করছেন তদন্তকারীরা। ED সূত্রে খবর, সায়নী নিজের নামে কেনা ফ্ল্যাটের নথি জমা দিলেও তাঁর মায়ের নামে যে ফ্ল্যাট রয়েছে তার টাকা এবং লেনদেন সম্পর্কিত কোনও তথ্য জমা দেননি। পাশাপাশি ‘কলোনি ল্যান্ড’ বলে একটি সম্পত্তিও বিক্রি করা হয়েছিল এর মধ্যে। সেই সম্পত্তি বিক্রির টাকা লেনদেনের নথিও জমা দেওয়া হয়নি, সূত্রের খবর এমনটাই।
সূত্রের খবর, বুধবার আইনজীবী মারফত নথিপত্র পাঠানোর পাশাপাশি একটি চিঠিও পাঠিয়েছিলেন সায়নী ঘোষ। সেখানে তিনি লিখেছিলেন, অন্যান্য নথি তিনি পরে জমা দেবেন। যদিও এই বিষয়ে অভিনেত্রী বা ED-র তরফে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু বলা হয়নি।
সূত্রের খবর, সায়নী ঘোষের এই ‘অসম্পূর্ণ’ নথি জমা দেওয়া নিয়ে মোটেও সন্তুষ্ট নন তদন্তকারীরা। তাঁদের কথায়, “যথেষ্ট সময় দেওয়া হয়েছিল সায়নীকে। সেক্ষেত্রেও কেন সম্পূর্ণ তথ্য জমা দেননি তিনি?”
ED সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, সায়নী এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খতিয়ে দেখে পাওয়া গিয়েছে গুরুত্বপূর্ণ বেশ কিছু তথ্য। ভবিষ্যতে এই তথ্য সামনে রেখে সায়নীকে ফের জিজ্ঞাসাবাদ করতে চান তদন্তকারীরা।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার ১১ ঘণ্টা ED জিজ্ঞাসাবাদ করে যুব তৃণমূলের সভানেত্রীকে। সেই দিনই তাঁকে বেশ কিছু নথি সমেত ৫ তারিখ হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। বুধবার তাঁকে পূর্ব বর্ধমানের গলসিতে ভোট প্রচারে দেখা যায়।
তৃণমূল সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই প্রায় শতাধিক পাতার নথি তিনি ED দফতরে পাঠিয়েছেন। পাশাপাশি কেন ভোটের মুখে তলব করা হল সায়নীকে? তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন কুণাল ঘোষ। এর আগেও তিনি ‘এজেন্সি রাজনীতি’ নিয়ে তোপ দেগেছিলেন BJP-র বিরুদ্ধে। যদিও এই যাবতীয় দাবি উড়িয়ে দিয়েছিল গেরুয়া শিবির।