ঘাটাল মহকুমা অফিসের কর্মী ছিলেন দেবদীপ মুখোপাধ্যায়। বছর আড়াই আগে পথ দুর্ঘটনায় তাঁর মৃত্যু হয়। তাঁকেই দেওয়া হয়েছে ঘাটালের ভোট গণনার দায়িত্ব। চিঠিও ইস্যু করা হয়েছে তাঁর নামে! সূত্রের খবর, ঘাটাল মহকুমাশাসকের দপ্তরের কর্মী দেবদীপ মুখোপাধ্যায়ের আসল বাড়ি মেদিনীপুর শহরে হলেও, কাজের জন্য তিনি ঘাটালের কুশপাতা এলাকায় সরকারি আবাসনে থাকতেন। গত ২০২১ সালের ২৯ মার্চ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় তাঁর। কিন্তু তাতেও রেহাই নেই নির্বাচনের দায়িত্ব পালনে। মৃত এই সরকারি কর্মীকে দেওয়া হয়েছে ভোট গণনার দায়িত্ব। যা নিয়ে বিরোধীরা কটাক্ষ করতে ছাড়েননি।
ঘাটালের বিজেপি বিধায়ক শীতল কপাট বলেন, ‘এটা ভুল নয়। ভোট গণনায় হিসেব গরমিল করার জন্য জেনে-বুঝে এমন কাজ করা হয়েছে।’
অন্য দিকে, এ দিন ইডি ভোট দিতে গিয়ে এক স্কুল শিক্ষক জানতে পারেন, তিনি আসলে ‘ডিলিটেড’। দাসপুরের বাসিন্দা বিশ্বজিৎ জানা ঝাড়গ্রামে প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি করেন। এ দিন নিজের ব্লক অর্থাৎ সাঁকরাইলে ইডি ভোট দিতে না পেরে খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, তাঁর নামের পাশে ডিলিটেড লেখা রয়েছে।
বিশ্বজিৎ বলেন, ‘আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারি, ভোটার তালিকা থেকে আমার নাম বাতিল হয়েছে। কিন্তু কেন? তাঁর কোনও সদুত্তর পাইনি।’ তিনি বলেন, ‘ভোটার তালিকায় আমার পরিবারের সকলের নাম আছে। আমার মৃত ঠাকুমার নামের পাশে লেখা রয়েছে ডিলিটেড। আবার আমার নামের পাশেও লেখা রয়েছে ডিলিটেড! তাহলে আমিও কি মৃত? ব্লকের আধিকারিকদের কাছে ঘুরে এর কোনও সদুত্তর পাইনি।’ দাসপুর-২ ব্লকের বিডিও অনির্বাণ সাহু বলেন, ‘যেটুকু খোঁজ নিয়ে জেনেছি, উনি দেড় বছর ধরে ঝাড়গ্রামে চাকরিসূত্রে রয়েছেন। ৬ মাসের বেশি নিজের জায়গায় না থাকলে, কেউ অভিযোগ করলে, নাম বাদ পড়তে পারে। সেক্ষেত্রে ডিলিটেড লেখা হয়।’
