ভুয়ো ডাক্তার, ভুয়ো পুলিশ, ভুয়ো আইপিএস পর এবার ভুলো উকিলের হদিশ পাওয়া গেলো হুগলি জেলার আরামবাগে। ভুয়ো উকিলের পরিচয় দিয়ে দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে আরামবাগ মহকুমা আদালতে প্রতাড়না করার অভিযোগ উঠলো এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। আটক ব্যক্তির নাম মুন্সি মহম্মদ বরকতুল্লাহ।
বৃহস্পতিবার আরামবাগ মহকুমা আদালতে ভুয়ো উকিল পরিচয় দিয়ে মোকদ্দমা ফাইল করতে গিয়ে ধরা পরে যান। তারপর আরামবাগ আদালতের বার অ্যাসোসিয়নের পক্ষ থেকে বরকতুল্লাহকে আটক করে করা হয়। ওরে আরামবাগ থানায় খবর দেওয়া হয়। পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনা স্থলে গেলে আরামবাগ বার এসোসরিনের সদস্যরা তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেন।
আরামবাগ থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। এমনটাই দাবি করছেন আরামবাগ বার অ্যাসোসিয়েন্স সদস্য। আরামবাগ বার অ্যাসোসিয়েশন সূত্রে জানা যায়, এদিন আরামবাগ কোটে আনুমানিক ১২.৩০টা নাগাদ মোকদ্দমা সংক্রান্ত ব্যাপারে এস.ডি.ই.এম কোর্টে উপস্থিত ছিলেন আরামবাগ বার অ্যাসোসিনের সদস্য তথা বহু বছর ধরে কোটে মোহরার নামে পরিচিত মুকুল রায় চৌধুরী নামে একজন ব্যক্তি।
তিনি লক্ষ্য করেন, এক ব্যক্তি নিজেকে উকিলবাবু পরিচয় দিয়ে দুটি এম.পি. মোকদ্দমা ফাইল করার জন্য নথি জমা করছে। কিন্তু কোনও উকিলবাবুর স্বাক্ষর নেই। কেবলমাত্র দুটি মামলায় অন্য প্রথমপক্ষের স্বাক্ষর আছে। এটা দেখে তাঁর সন্দেহ হয়। তিনি ওই ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসা করেন, ‘আপনি কি কোনো মুহুরী বা উকিলবাবু?” তখন সে বলে, ‘আমি উকিলবাবু’। ‘আপনি কোন্ কোর্টের উকিলবাবু, কোথায় প্রাক্টিস করেন?’
তখন সে হঠাৎ মেজাজ হারিয়ে মুকুলবাবুকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে।তারপর অন্যন্য মোহরার ও উকিলরা ঘটনাস্থলে আসেন এবং প্রমান দেখাতে বলেন। কিন্তু ভুয়ো বরকতুল্লাহ কোনও তথ্য দিতে পারেনি। এরপর আরামবাগ বার অ্যাসোসিয়েশনের এর পক্ষ থেকে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। পরে আরামবাগের ঘিয়া এলাকার বাসিন্দা মুন্সি মহম্মদ বরকতুল্লাহ নিজের দোষ স্বীকার করেন ভুয়া আইনজীবী হিসাবে মুচলেকা দেন।
আরামবাগ মহকুমা আদালতের বিশিষ্ট আইনজীবী সুকান্ত হালদার বলেন, ‘ভুয়ো আইনজীবী হয়েও আদালতে মামলা দায়ের করছিলেন। ধরা পড়ার পর আরামবাগ বার আসন পক্ষ থেকে অভিযোগ দায়ের করা হচ্ছে।’