‘দেখি রাজ্যপাল কী করেন…’, ভোট মিটতে রাষ্ট্রপতি শাসনের জোরাল দাবি বিজেপির


356 in West Bengal : পঞ্চায়েত নির্বাচনে দিনভর অশান্তির শেষে রাজ্যে ৩৫৬ ধারা জারির ব্যাপারে জোরালো দাবি তুলল গেরুয়া শিবির। একদিকে, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী যেমন ৩৫৬ ধারা জারির ব্যাপারে আওয়াজ তুলেছেন। এক ধাপ এগিয়ে বিষয়টি রাজ্যপালের বিবেচনা করা উচিত বলে জানালেন বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য।

WB Panchayat Vote 2023 : ‘মেরুদণ্ডহীন কেন্দ্রীয় বাহিনীর ভূমিকা হতাশাজনক’, অশান্তির আবহে সাফাই কুণালের
এদিন রাজ্যে জুড়ে অশান্তির চিত্র দেখার পর বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘এখন দুটি রাস্তা বজায় আছে। একদিকে রয়েছে, গণ অভ্যুত্থান। চলো কালীঘাট… গুলি করুক।’ এরপর শুভেন্দু উল্লেখ করেন, ‘প্রথম ১০ – ২০ জন মরবে। আমি থাকতে রাজি আছি। তার পর বাংলার ১০ কোটি লোক বেঁচে যাবে। অথবা ৩৫৬ বা ৩৫৫ ধারা জারি করে নির্বাচন। এর কোনও বিকল্প নেই।’

Panchayat Election : BJP বিরোধী ঐক্য মজবুতির বার্তা? পঞ্চায়েতে না লড়ে মমতার হাত শক্ত করছে আপ!
একধাপ এগিয়ে বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘355/356 কেন‌ দাবি কেন করছেন না রাজ্যপাল। আমরা দেখব রাজ্যপাল‌ ‌কী করেন? কোন ভবে এই রাজ্য সরকার চলতে দেওয়া যায় না। গোটা রাজ্যে যা অবস্থা তাতে 356 প্রয়োগ হওয়া উচিত‌।’ রাজ্যপাল কী করে দেখেন তার অপেক্ষায় রয়েছে বিজেপি নেতৃত্ব বলে মত তাঁর।
সেক্ষেত্রে, রাজ্যপাল এই সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত না বলে আগামী দিনে বিজেপির তরফ থেকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে কোনও আবেদন করা হবে কিনা সেই ব্যাপারে জল্পনা বজায় রাখলেন তিনি।

West Bengal Election Commission : &amp#39;ভোট শান্তিপূর্ণ না অশান্ত, বলার সময় আসেনি&amp#39;, নজিরবিহীন সন্ত্রাসের মধ্যে মন্তব্য রাজীবের
নির্বাচন শুরু হওয়ার পর থেকেই এদিন একের পর এক জেলা থেকে অশান্তির খবর উঠে আসতে থাকে। কোচবিহার থেকে মুর্শিদাবাদ, হাওড়া থেকে দক্ষিণ ২৪ পরগনা একাধিক জেলায় রক্তারক্তি, মারামারি, ব্যালট পুড়িয়ে দেওয়া, বোমাবাজি একাধিক ঘটনার কথা উঠে আসতে থাকে।

Dilip Ghosh on Panchayat Violence : ‘সারা দেশে ছিছিক্কার…’ ক্ষোভ প্রকাশ দিলীপের

নির্বাচনের অশান্তির ঘটনার পর থেকেই বিজেপি নেতৃত্ব রাজ্য নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্নচিহ্ন তুলতে শুরু করে। এদিন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও ভোটকে প্রহসন বলে দাবি করেন। সুকান্ত বলেন, ‘দিদি এবং তাঁর দুষ্কৃতীরা এভাবেই ভোটকে প্রহসনে পরিণত করেছে। কোচবিহার জেলায় ব্যালট বাক্সে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে।’ নির্বাচন কমিশন কোথায় গেল? প্রশ্ন তোলেন সুকান্ত।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *