জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: পশ্চিমবঙ্গে পঞ্চায়েত ভোটের (WB Panchayat Election 2023) সন্ত্রাস, যে ভংয়কর চেহারা নিয়েছে, তা দেখে জটিলেশ্বর মুখোপাধ্যায়ের গানের লাইন উদ্ধৃত করাই যায়। ‘এ কোন সকাল রাতের চেয়েও অন্ধকার!’ শনিবারের দুপুরে এই প্রতিবেদন লেখার সময় পর্যন্ত বিগত ৭ ঘণ্টায় রাজ্যে নিহতের সংখ্যা ১৪, কমিশনের কাছে জমা পড়েছে কমিশনারের কাছে। পঞ্চায়েতের ভোটের শুরু থেকেই সন্ত্রাস অব্যাহত। সংঘর্ষ, বোমাবাজি, ছাপ্পা ভোটে ছয়লাপ রাজ্যর প্রায় প্রতিটা জেলা। হতে পারে ভোট উৎসব চলছে গ্রাম বাংলায়। কিন্তু তাঁর প্রভাব পড়েছে শহর কলকাতা ও একাধিক জেলায়। যানবাহন কার্যত অদৃশ্য বললেও ভুল বলা হবে না।
আরও পড়ুন: WB Panchayat Election 2023 LIVE
আজ শনিবার, সরকারি অফিস বন্ধ থাকলেও, বেসরকারি অফিস কিন্তু খোলা। কাজের জন্য হাজার হাজার মানুষকেই বাড়ির বাইরে পা রাখতে হয়েছে। বাসের জন্য হাপিত্যেশ হয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাড়িয়ে থাকতে হয়েছে অনেককেই। সব জায়গায় একই চিত্র। পঞ্চায়েত নির্বাচনের জন্য বাংলা থেকে গায়েব হয়ে গিয়েছে ৩০ হাজার বাস। হাওড়া, কলকাতা ও উত্তর ২৪ পরগনা জেলা থেকে তুলে নেওয়া হয়েছে ১৫ হাজার বাস। আর এই তিন জেলাই সবচেয়ে বেশি জনবহুল। প্রতিদিনের চেয়ে ১৫ হাজার বাস কম থাকার প্রভাব পড়েছে খুব স্বাভাবিক ভাবেই। এমনকী অটোও চলেছে অনেক কম। কলকাতা থেকে হাওড়া হয়ে বারাসত। ওদিকে বর্ধমান থেকে দুর্গাপুর হয়ে আসানসোল। দুর্গাপুর ও শিলিগুড়ি ব্যতিক্রম নয়। সকলের লোকাল ট্রেনে যাওয়া আসার সুবিধা নেই। অনেকেরই নিত্যদিনের বাড়ি-অফিসের একমাত্র ভরসা বাস।
একদিকে বাস নেই, তারউপর অটোর মারাত্মক দৌরাত্ম্য। অটোচালকরা নিজের মর্জিমাফিক অটো ভাড়া হাঁকিয়ে নিয়েছেন। যারা এদিন কাজের জন্য রাস্তায় পা রেখেছেন, তাদের মনের মধ্যে একটাই প্রশ্ন এসেছে, আদৌ কাজে যাওয়ার যানবাহন মিলবে তো? গত বৃহস্পতিবার থেকেই কিন্তু বাস উধাও হওয়া শুরু হয়েছে। ভোটের দিনের অবস্থা সবচেয়ে শোচনীয়। তবে আগামী সোমবার পর্যন্ত এই ভোগান্তি চলবে বলেই খবর। ভোটের জন্য নির্বাচন কমিশনই যে বাস তুলে নিয়েছে, এমনটা কিন্তু মোটেই নয়। বহু বাস মালিক ভোট সন্ত্রাসের কথা মাথায় রেখেই, রাস্তায় তাঁদের বাস নামাতে চান না। কারণ তাঁরা জানেন যে, ক্ষোভ প্রকাশের জন্য বাসের উপর আক্রমণ করা ও ভাঙচুর চালানো নতুন কিছু নয়। সম্ভাব্য ক্ষতির কথা মাথায় রেখেই পথে বাস নামাতে চাননি বাস মালিকরা।