৫টা পর্যন্ত ভোটের হার ৬৬.৯৪ শতাংশ! কীসের ইঙ্গিত? জানুন জেলা ভিত্তিক ভোটের হার


West Bengal Panchayat Election : গণতন্ত্রের উৎসবে রক্তের হোলি খেলা দেখল গোটা বাংলা। প্রাণ হাতে করে বর্ষার মেখলা আবহাওয়ায় ভোট দিয়েছেন অনেকেই। গুলি-বোমা-ছাপ্পা-লুঠ কোনওটাই বাদ যায়নি শনিবারের মহারণে। কিন্তু এত সব কিছু পেরিয়েও কত লোক তাঁর মত ব্যক্ত করলেন ভোট বাক্সে।

Exit Poll Result Gram Panchayat: রক্তঝরা ভোটের ফল কী হবে? নজরে বুথফেরত সমীক্ষা
পঞ্চায়েত নির্বাচনের শুরুর লগ্ন থেকে ভোটের হার ছিল অনেকটাই কম। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মানুষের লম্বা লাইন দেখা যায় বুথ গুলিতে। তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, গত বিধানসভা বা লোকসভা নির্বাচনে যে হারে ভোট পড়েছে, তার থেকে অনেকটাই কম পড়েছে গ্রামের ভোট। গত বিধানসভা নির্বাচনে প্রায় ৮০ শতাংশ জনমত বাক্স বন্দী হয়েছিল। এবারে বেশিরভাগ জেলাতেই ৬০ শতাংশ বা তার কম ভোট পড়তে দেখা গিয়েছে জেলায় জেলায়।

Panchayat Election West Bengal: বল্গাহীন সন্ত্রাসের তুর্কিনাচ! পঞ্চায়েত ভোটে রক্ত দিয়ে হোলি খেলল বাংলা
আলিপুরদুয়ার জেলায় ৬৩:১১ শতাংশ, দক্ষিন দিনাজপুর ৬১:৯৩ শতাংশ, কোচবিহার ৬৩:৮৪ শতাংশ, জলপাইগুড়ি ৬২:২৪, উত্তর দিনাজপুর৷ ৫৬:৮৭, মুর্শিদাবাদ ৬৫:৯৫, মালদহ ৬৩:৪৪, পশ্চিম মেদিনীপুর: ৭৯:১৫, পুরুলিয়া ৫৯:৮৫, বাঁকুড়া ৫৯:৮৩ শতাংশ ভোট পড়েছে।
অন্যদিকে, বীরভূম জেলায় ৬৮:৮৮ শতাংশ, ঝাড়গ্রাম ৬৪:২৬ শতাংশ, হুগলি জেলায় ৬৫:৪৩, হাওড়া ৬৭:৫৮, উত্তর চব্বিশ পরগণা ৬৭;৮৮, পশ্চিম বর্ধমান জেলায় ৬৫:৮৫, নদিয়া জেলার ৬৮:৭২, দক্ষিণ চব্বিশ পরগণা ৬৫:৪০, পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় ৬৭:২৩, পূব বর্ধমান জেলার ৬৮:৯০, কালিম্পং জেলায় ৫৬:৪৯ শতাংশ ভোট পড়েছে।

BJP West Bengal : &amp#39;দেখি রাজ্যপাল কী করেন…&amp#39;, ভোট মিটতে রাষ্ট্রপতি শাসনের জোরাল দাবি বিজেপির
তবে বিধানসভা নির্বাচনের তুলনায় পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভোটের হার কমল কেন? রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা কারণের তালিকায় প্রথমেই রাখছেন হানাহানির বিষয়টি। প্রাণ হাতে করে ভোট দেওয়া থেকে বিরত থেকেছে রাজ্যের এক অংশের মানুষ। ভোট আগে না প্রাণ আগে সেই ভেবেই বুথমুখী হয়নি অনেকেই। যেভাবে অবাধে সন্ত্রাস ঘটেছে জেলায় জেলায়, সকলের রক্তপাতের চিত্র বদলে দিয়েছে জন সাধারণ মানসিকতা।

Kanksa Panchayat Election : ভোটলুঠ! প্রতিরোধ! তৃণমূলের বহিরাগতদের বাইকে আগুন!

পাশাপাশি, মুখ্যমন্ত্রী বা প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের ভোটে মানুষের একটা আলাদা উৎসাহ থাকে। সেই প্রতিচ্ছবি দেখা যায় না এই নির্বাচনগুলিতেও। আরও একটি বিষয় তুলে ধরছেন রাজনীতির কারবারিরা। সরকার বিরোধী মানসিকতা বা অ্যান্টি ইনকাম্বেন্সি তৈরি হলে মানুষের ভোট দেওয়ার প্রবণতা বাড়ে। তাহলে কি শাসক দলের প্রতিই আস্থা রেখেছেন বেশিরভাগ মানুষ? সেই প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যাবে তিনদিন পর।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *