আজ হাতে গোনা কিছু পূন্যার্থী তারা মায়ের মন্দিরে দর্শন করতে এলেন। আর শনিবার এসে অনেকে বলে গেলেন, ‘আজকে ফাঁকা সময়ে মায়ের দর্শন করলাম এবং পুজো দিলাম। এরকম ফাঁকা মন্দির কোনোদিন দেখতে পাইনি।’
শনিবার ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচন হল জেলা জুড়ে। তারই প্রভাব দেখা গেল তারাপীঠ মন্দির চত্বরে। মন্দিরের সেবাইতরা জানান, এদিন সকাল দিকে পুণ্যার্থীদের অল্প ভিড় ছিল। কিন্তু বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সেই লোকসংখ্যা একেবারেই কমে যায়। তাতেই আর পাঁচটা দিনের মত ভিড় এড়িয়ে পুজো দিতে হয়নি পূর্ণ্যার্থীদের।
সেবাইতদের আরও দাবি, সাধারণত শনিবার তারাপীঠে ভিড় অন্যান্য দিনের তুলনায় অনেকটাই বেশি হয়। অথচ এদিন পূর্ণ্যার্থীদের আনাগোনা অনেক কম ছিল। এমনকি হোটেলগুলিতেও বুকিং ছিল না একেবারেই।
সেবাইতরা আরও দাবি করেন, ‘বর্তমানে বীরভূম অশান্তির জন্য বিখ্যাত৷ স্বাভাবিকভাবেই পঞ্চায়েত ভোট মানেই জেলার জায়গায় জায়গায় অশান্তি হতে পারে এমন আশঙ্কা করেছেন অনেক পর্যটক। সেই আশঙ্কা থেকেই তাঁরা এদিন মন্দিরে আসেননি।’ স্বাভাবিকভাবেই ভোটের প্রভাব থেকে বাদ যায়নি তারাপীঠও।
মন্দির কমিটির সভাপতি তারাময় মুখোপাধ্যায় জানান, ‘সকালে কিছু ভিড় ছিল। তবে ভোট বলেই লোক নেই।’ মন্দিরের সেবাইত পুলক চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘আসলে বীরভূমের ভোট মানে বহিরাগতদের কাছে আতঙ্কের আবহ। তার প্রভাব পড়েছে মন্দিরে। তাছাড়া এত কম ভিড় কোনোদিন থাকে না।’
এদিন বেশ কিছু মানুষ এসেছিলেন বাইরের জেলা থেকে। তাঁদের মধ্যে একজন বলেন, ‘মায়ের মন্দির এত ফাঁকা আমি দেখিনি। বহুবার মায়ের কাছে এসেছি।’ যদিও পর্যটক, সেবাইতদের আশঙ্কা সত্য প্রমাণ করে এদিন বেশ কিছু জায়গা থেকে হিংসার খবর পাওয়া গিয়েছে। নথি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
আগুন লাগিয়ে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে বাইক। ব্যালট পেপার পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ময়ুরেশ্বরে ব্যালট পেপার ছুঁড়ে ফেলে দেওয়া হয়েছে পুকুরে। ভোটকর্মীদের শাসানোও চলে পুরোদমে। আসলে ছাপ্পা দিতে এসেছিল কয়েকজন দুষ্কৃতী। তারপরই শুরু হয় এই অশান্তি।