ব্যালট বক্সে হামলা
এদিকে পঞ্চায়েত ভোটে দিনভর বারেবারেই দুষ্কৃতীদের নিশানায় পড়েছে ব্যালট বাক্স। রাজ্যের উত্তর থেকে দক্ষিণ, সর্বত্রই একই ছবি। শিলিগুড়ি সংলগ্ন রাজগঞ্জের সন্ন্যাসীকাটার জুম্মাগছে ব্যালট বাক্স পুকুরে ফেলে দেওয়ার ঘটনা দেখা যায়। পরে পুকুরের মধ্যে ব্যালট বাক্স খুঁজতে দেখা গেল তৃণমূল কর্মীকে। শাসকদলের অভিযোগ জোট প্রার্থীরা এই কাজের সঙ্গে যুক্ত।
পাশাপাশি উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরের জগতাগাও হাইস্কুলে ব্যালট পেপার-সহ বেশকিছু সামগ্রী পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল। ছিঁড়ে ফেলে দেওয়া হয় প্রচুর ব্যালট পেপার। যার জেরে বন্ধ হয়ে যায় ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া। ভোট লুঠের পাশাপাশি ব্যালট বাক্সে আগুনও ধরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। ভেঙে দেওয়া হয় সিসিটিভি। ভাঙচুর চালান হয় স্কুলটিতেও।
পাশ্ববর্তী জেলা দক্ষিণ দিনাজপুরে ব্যালট বাক্সে জল ঢেলে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। জেলার গঙ্গারামপুরে সুকদেবপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের জয়দেবপুর নিম্ন বুনিয়াদি বিদ্যালয়ের ১৭৫ এবং ১৭৫-এ নম্বর বুথে ব্যালট বাক্সে জল ঢেলে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে গেরুয়া শিবিরের বিরুদ্ধে। দক্ষিণবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলার সামশেরগঞ্জেও জলে ভাসতে দেখা গেল ব্যালট বাক্স। ব্যালট বাক্স লুঠ করে পুকুরের জলে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। জলে ভাসতে দেখা যায় প্রচুর ব্যালট পেপারও।
এছাড়া ব্যালট বাক্স ছিনিয়ে নেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে দক্ষিণ দিনাজপুরে। জেলার হরিরামপুর ব্লকের ১১৬ নম্বর বুথে গোটা ব্যালট বাক্স ছিনিয়ে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ ওঠে। জানা গিয়েছে এদিন বুথের মধ্যেই বিবাদে জড়িয়ে পড়েন রাজনৈতিক দলগুলির পোলিং এজেন্টরা। অভিযোগ, এরপরেই তাঁদের মধ্যে কেউ একজন ব্যালট বাক্স নিয়ে চলে যায়। ঘরের মধ্যেই যত্রতত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে থাকতে দেখা যায় ব্যালট পেপার। এই ঘটনার পরেই আতঙ্কে বুথ ছাড়েন ভোটাররা।