এই সব ঘটনা আটকাতে হাইকোটের নির্দেশে রাজ্য এসেছিল কেন্দ্রীয় বাহিনী। সময় মতো প্রতিটি মহকুমাতে কেন্দ্রীয় বাহিনী আসে। কিন্তু ভোটের দিন উধাও কেন্দ্রীয় বাহিনী। কিন্তু গেল কোথায়? তাঁরা কি স্রেফ উবে গেল?এমনই প্রশ্ন উঠছে গ্রামে গ্রামে।
যদিও বিরোধীদের অভিযোগ, সে সব কিছুই হয়নি। রাজ্য নির্বাচন কমিশন ও রাজ্য প্রশাসনের কিছু অসাধু যোগসাজসে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে নিদিষ্ট জায়গায় রিজার্ভ করে রাখা হয়েছে। এমনটাই অভিযোগ করছে বিরোধী রাজনৈতিক দল থেকে শুরু করে এলাকার মানুষ।
এক সাধারণ ভোটার বলেছেন, ‘এদিন আরামবাগ মহকুমার প্রায় প্রতিটি বুথে কোনও কেন্দ্রীয় বাহিনী দেখা যায়নি। কেবল একজন করে রাজ্য পুলিশ ও একজন বা দুই জন করে সিভিক ভলান্টিয়ার ছিল। এই জন্যই সারা মহকুমা জুড়ে চলে ভোটের নামে প্রহসন।’
এদিন আরামবাগ মহকুমার পুড়শুড়া ব্লকের পশ্চিমপাড়া এলাকায় ও আরামবাগের কালিপুর স্পোর্টস কমপ্লেক্সে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ভোটের দিন ভালো খাবার দিয়ে রিজার্ভ করে রাখা হয় বলে অভিযোগ করেছে BJP। আর এই খবর পেয়ে সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধিরা সেখানে যেতেই হতচকিত হয়ে যায় কেন্দ্রীয় বাহিনী। কিন্তু বিরোধীদের দাবি, তাঁদের এখানে কিছু করার নেই।
ভোটে যদি তাদের কাজে লাগানো না হয় তাহলে তাঁরা কি করবে! পশ্চিমবঙ্গের মানুষ যাদের উপর ভরসা করেছিলেন, তাঁরাই ভোটের দিন আরামসে বসে সময় কাটিয়ে দিল বলে অভিযোগ। অসহায় ভাবে আরামবাগে ভোটের দিন রক্তাক্ত হতে হল বহু মানুষকে।
এই বিষয়ে আরামবাগের এক BJP নেতা বলেছেন, ‘ভোটের নামে খেলা হল এটা। কত কত মানুষ প্রাণ হারালেন, কত মানুষ আহত হলেন। এই দিকে নির্বাচন কমিশন না তাকিয়ে চুপ করে বসে রইল। শুধু মজা দেখল। কিন্তু মানুষ সব কিছুই দেখলেন। আসন্ন লোকসভা ভোট কিন্তু কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের পরিচালনায় হবে। একথা তৃণমূলের যেন মনে থাকে।’