পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে আদালতে যেতে পারেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, এই বিষয়টি সামনে উঠে আসছিল। তা নিয়ে প্রশ্ন করাতেই তীব্র কটাক্ষ কুণালের।
তিনি বলেন, “বিয়ে করলে কোর্টটা ওঁর শ্বশুরবাড়ি হত… নিশ্চিতভাবে হার বুঝেছেন। আর তাই মানসিক হতাশা কাজ করছে। কোর্টে গেলে যাবেন! তিনি তো একাধিক দফায় ভোটে চেয়ে কোর্টে গিয়েছিলেন। হয়নি তো! আবার ভোটে তিনি ঘুরে ঘুরে বেড়াতেও চেয়েছিলেন! দিলীপ ঘোষ তাঁর উলটো দিকে মত দিয়েছেন। লোকে রেস্তোরাঁয় যায়, ও আবার বিউটি পার্লারে যায়, এখন আবার কোর্টে যাচ্ছে।”
পাশাপাশি BJP-তে শুভেন্দু অধিকারীর অবস্থা ‘নড়বড়ে’ এমনটাই দাবি শোনা যায় কুণালের কণ্ঠে। তাঁর কথায়, “ওঁর বাড়ির লোককে বলব চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে। ওঁর চোখ মুখের অবস্থা একেবারে ভালো নয়। উচ্চ রক্তচাপ, গভীর হতাশা, আগের দিন কাঁথিতে দেখলাম দরজা খুলে বার হতে যায়নি…শেষ এমন দেখেছিলাম জনি লিভারের ক্ষেত্রে। চোখ গোল্লা করছিল …পুরো জনি লিভার।”
এখানেই কুণাল-কটাক্ষ শেষ হয়নি, তিনি আরও বলেন, “তিনি (নাম না করে শুভেন্দুকে ইঙ্গিত) আমাদের কুৎসা করেছেন। ক্ষতি করেছেন। তবে রাজনীতি রাজনীতির জায়গায় থাকবে। তাঁর বাড়ির লোককে বলব উঁচু বাড়িতে খোলা জানালায় ওকে থাকতে দেবেন না। ওঁর চিকিৎসা করান।”
এদিকে কুণালের পালটা সরব হয়েছেন BJP নেতা রাহুল সিনহা। তিনি বলেন, “এত মানুষের মৃত্যু, এত জন আহত, ভোট লুঠ হল সেই সময় কুণাল ঘোষের রুচিটা দেখুন…তিনি ঠাট্টা এবং অপরকে অপমান করার রাজনীতি করছেন। যে লোকগুলো মারা গিয়েছেন তাঁদের পরিবারের কথা ভেবে আজ অন্তত এই ধরনের কথা বলার থেকে বিরত থাকা উচিত। তার মানে ওদের কাছে মৃত্যু কোনও ব্যাপার নয়। তৃণমূলের প্রার্থীও মারা গিয়েছে। তার মানে তাঁদের মৃত্যুও কোনও ব্যাপার নয়। ওদের কাছে ভোট এবং রাজনীতি আগে। যেমন লোক তেমন ভাষা।”