Kunal Ghosh Suvendu Adhikari : ‘ও পার্লারে যায়, চোখ গোল্লা গোল্লা করে পুরো জনি লিভার’, শুভেন্দুকে কুণাল-বাণ – kunal ghosh attacks suvendu adhikari here is what he said


রাজনীতি, হিংসা, অশান্তির মধ্যে ‘পলি-কমিক রিলিফ’ দেওয়ার চেষ্টা! পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে তৃণমূলের সাংবাদিক বৈঠক! গুরুগম্ভীর তথ্য, তত্ত্ব রাখা হচ্ছে। এরই মধ্যে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে আক্রমণ তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষের। কিন্তু, কথা, অভিব্যক্তির মারপ্যাঁচে বিরোধী দলনেতাকে নিয়ে কিছুটা কি ‘ঠাট্টা’ করলেন এই অভিজ্ঞ তৃণমূল নেতা? পাশে বসা রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজার মুখেও হালকা হাসির আভা।

পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে আদালতে যেতে পারেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, এই বিষয়টি সামনে উঠে আসছিল। তা নিয়ে প্রশ্ন করাতেই তীব্র কটাক্ষ কুণালের।

West Bengal Election 2023 : সব দোষ রাজ্যপাল-বিরোধীদের! পঞ্চায়েত ভোটের ‘রেড স্যাটারডে’ তৃণমূলের চোখে শান্তিপূর্ণ
তিনি বলেন, “বিয়ে করলে কোর্টটা ওঁর শ্বশুরবাড়ি হত… নিশ্চিতভাবে হার বুঝেছেন। আর তাই মানসিক হতাশা কাজ করছে। কোর্টে গেলে যাবেন! তিনি তো একাধিক দফায় ভোটে চেয়ে কোর্টে গিয়েছিলেন। হয়নি তো! আবার ভোটে তিনি ঘুরে ঘুরে বেড়াতেও চেয়েছিলেন! দিলীপ ঘোষ তাঁর উলটো দিকে মত দিয়েছেন। লোকে রেস্তোরাঁয় যায়, ও আবার বিউটি পার্লারে যায়, এখন আবার কোর্টে যাচ্ছে।”

Suvendu Adhikari : ‘মমতা ও ইয়েচুরি একসঙ্গে বিরিয়ানি-ফিস ফ্রাই খেয়েছে…’, CPIM কর্মীদের বার্তা শুভেন্দুর
পাশাপাশি BJP-তে শুভেন্দু অধিকারীর অবস্থা ‘নড়বড়ে’ এমনটাই দাবি শোনা যায় কুণালের কণ্ঠে। তাঁর কথায়, “ওঁর বাড়ির লোককে বলব চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে। ওঁর চোখ মুখের অবস্থা একেবারে ভালো নয়। উচ্চ রক্তচাপ, গভীর হতাশা, আগের দিন কাঁথিতে দেখলাম দরজা খুলে বার হতে যায়নি…শেষ এমন দেখেছিলাম জনি লিভারের ক্ষেত্রে। চোখ গোল্লা করছিল …পুরো জনি লিভার।”

এখানেই কুণাল-কটাক্ষ শেষ হয়নি, তিনি আরও বলেন, “তিনি (নাম না করে শুভেন্দুকে ইঙ্গিত) আমাদের কুৎসা করেছেন। ক্ষতি করেছেন। তবে রাজনীতি রাজনীতির জায়গায় থাকবে। তাঁর বাড়ির লোককে বলব উঁচু বাড়িতে খোলা জানালায় ওকে থাকতে দেবেন না। ওঁর চিকিৎসা করান।”

Saayoni Ghosh : ED দফতরে যাচ্ছেন না সায়নী! তৃণমূল নেতার দাবি ঘিরে ধোঁয়াশা
এদিকে কুণালের পালটা সরব হয়েছেন BJP নেতা রাহুল সিনহা। তিনি বলেন, “এত মানুষের মৃত্যু, এত জন আহত, ভোট লুঠ হল সেই সময় কুণাল ঘোষের রুচিটা দেখুন…তিনি ঠাট্টা এবং অপরকে অপমান করার রাজনীতি করছেন। যে লোকগুলো মারা গিয়েছেন তাঁদের পরিবারের কথা ভেবে আজ অন্তত এই ধরনের কথা বলার থেকে বিরত থাকা উচিত। তার মানে ওদের কাছে মৃত্যু কোনও ব্যাপার নয়। তৃণমূলের প্রার্থীও মারা গিয়েছে। তার মানে তাঁদের মৃত্যুও কোনও ব্যাপার নয়। ওদের কাছে ভোট এবং রাজনীতি আগে। যেমন লোক তেমন ভাষা।”



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *