ভোট দেওয়ার পর এই সময় ডিজিটালকে মহুয়া বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের সর্বত্র উন্নয়ন করেছেন। উন্নয়নের জোরে সব জায়গায় জিতবে তৃণমূলই।’ করিমপুরে মহুয়া যে বুথে ভোট দিয়েছেন, সেখানে এখনও অবধি নির্বিঘ্নে ভোট হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।
করিমপুরে শান্তিপূর্ণ ভোট হলেও, পঞ্চায়েত ভোট শুরু হওয়ার পর থেকে রাজ্যের অনেক জেলাতেই বেপরোয়া সন্ত্রাসের ছবি ধরা পড়েছে। কোথাও বোমাবাজি, কোথাও গুলি চালনার ঘটনা আবার কোথাও খুন ঘিরে উত্তপ্ত রাজনীতি। এমনকী বিভিন্ন জায়গায় অবাধে ছাপ্পা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
নদিয়ার চাপড়াতেও চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে। সেখানে কংগ্রেস ও তৃণমূলের মধ্যে সংঘর্ষে এক তৃণমূল কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। ওই তৃণমূলকর্মী ভোট দিতে যাচ্ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। ওই তৃণমূলকর্মীকে কুপিয়ে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশ বাহিনী পৌঁছেছে বলে জানা গিয়েছে।
এদিন সকাল থেকে উত্তপ্ত হয়েছে রাজ্যের একাধিক জেলায়। কোচবিহারের তুফানগঞ্জ, মুর্শিদাবাদের রানীনগর থেকে শুরু করে উত্তর ২৪ পরগণার কদম্বগাছি, সর্বত্র বেপরোয়া সন্ত্রাসের ছবি ধরা পড়েছে। উত্তর ২৪ পরগনার কদম্বগাছিতে নির্দল প্রার্থীর সমর্থককে পিটিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে।
শুক্রবার রাতে নির্দলের হয়ে প্রচার করার জন্য বেধড়ক মারধর করা হয় নির্দল সমর্থক আবদুল্লা আলিকে। আবদুল্লা সহ চারজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় বারাসত জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরিবার ও মহিলা নির্দল প্রার্থীর অভিযোগ, আবদুল্লার মৃত্যু হয়েছে। যদিও মৃত্যুর কথা অস্বীকার করেছে পুলিশ। জেলার পুলিশ সুপারের দাবি, ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়নি। তিনি এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।