Nadia Panchayat Election : এক হাঁটু জল পেরিয়ে ভোটকেন্দ্রে! তেহট্টে প্রশাসনের ভূমিকায় প্রশ্ন – tehatta palashipara panchayat voting 2023 is going on while standing on rain water


West Bengal Panchayat Election 2023 : এক হাঁটু জল ভেঙে ভোটাররা তাঁদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করছেন। এমন দৃশ্য দেখা গেল পলাশীপাড়া থানার রুদ্রনগর ৬৮ নম্বর বুথে। এই ঘটনায় যথেষ্ট ক্ষুব্ধ ভোটাররা। তাঁরা এই অব্যবস্থা নিয়ে প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। এলাকার বাসিন্দাদের দাবি তেহট্ট – ২ ব্লকের BDO ও সেক্টর অফিসারকে জানিয়েও কোনও সুরাহা হয়নি।

পলাশীপাড়া থানার পলাশীপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের রুদ্রনগর ৬৮ নম্বর বুথ। এই বুথে ভোটার সংখ্যা ১১৯৩। এই বুথ হয়েছে রুদ্রনগর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। গত কয়েক দিনের বৃষ্টিতে এই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনের জায়গায় জল জমে যায়। শনিবার ভোটের দিন সেই জল জমেই থাকে।

Panchayat Election 2023 : নেই রাস্তা-জলের ব্যবস্থা, পোস্টার মেরে ভোট বয়কটের হুঁশিয়ারি পান্ডুয়ার গ্রামে
প্রায় এক হাঁটু জল ভেঙে ভোটারদের ভোট দিতে হয়। বুথের সামনে জল জমায় ভোটাররা সমস্যায় পড়েন। বিশেষ করে বয়স্ক ও অসুস্থ মানুষরা। এই গ্রাম পঞ্চায়েতের বিদায়ী সদস্য তেহট্ট-২ ব্লকের BDO ও সেক্টর অফিসারকে ফোন করে এই অসুবিধার কথা জানালেও কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি বলে অভিযোগ।

সুরাহা না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন ভোটাররা। ওই বুথের বিদায়ী পঞ্চায়েত সদস্য জামাল মণ্ডল বলেন, ‘আমি বুথে জল জমার কথা শুক্রবার ফোন করে BDO-কে জানিয়েছি। কিন্তু উনি আমাকে বলেন যে পাঁচ বছর সদস্য থেকে এই সমস্যার সমাধান করেননি কেন। এরপর আমি নিজে সেক্টর অফিসারকে ফোন করি। তিনি বলেন দেখছি কী করা যায়। তারপরে কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি তাঁরা।’

Howrah Panchayat Election : বুথে বুথে লম্বা লাইন, রাজ্যজুড়ে অশান্তির আবহে শান্তিপূর্ণ ভোটগ্রহণ এই জেলায়
ভোট দিতে এসেছিলেন মকসেদ শেখ। তিনি বলেন, ‘এত জঘন্য পরিবেশে ভোট দেওয়া আমাদের দেশেই সম্ভব। প্রশাসনের লোকজন ভোট দেখতে এসে এই কষ্ট দেখেও কিছু করল না।’ তাঞ্জিয়া বিবি নামে আর এক ভোটার বলেন, ‘এত জল জমে আছে যে কাপড় ভিজে গিয়েছে। এই ভাবে ভোট দেওয়া কি সম্ভব! প্রশাসন কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। তাহলে প্রশাসন কী করল!’

Arambagh Election News : বুথে দেদার ছাপ্পা! বিরক্ত প্রিসাইডিং অফিসার ব্যালট বাক্স নিয়ে হাঁটা দিলেন DCRC-তে
এই বিষয়ে BDO শুভ সিংহ রায় বলেন, ‘এই মুহূর্তে তো আর নিকাশি নালা করা সম্ভব না। তবে আমরা যাতে জল না জমে তাই জন্য রাবিস ফেলে জায়গা ঠিক করার চেষ্টা করেছি। যেহেতু সব ইট ভাটা বন্ধ তাই যেটুকু পেয়েছি তাই ফেলেছি।’ যদিও প্রশাসনের এই সাফাই মানতে রাজি নন ভোটাররা। তাঁদের দাবি, এই ব্যাপারে আরও আগে থেকে ব্যবস্থা নেওয়া উচিৎ ছিলও।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *