Rajiv Sinha : দেদার অশান্তি-ঝরছে রক্ত! ১০টায় কমিশনের অফিসে ঢুকলেন নির্বিকার রাজীব – west bengal election commissioner rajiv sinha came to office after 3 hours


প্রায় তিন ঘণ্টা…ভোট শুরুর পর থেকেই অশান্তির দৃশ্য রাজ্যজুড়ে। ভাঙড়ে বোমাবাজি, কদম্বগাছি-রানিনগর-কোচবিহারে ‘খুন’, অশান্ত ভোটপর্বের চিত্রটা অনেক দীর্ঘ। শনিবার সকাল ৭টায় শুরু হয়েছে ভোট। এর পরেই রাজ্যের বিভিন্ন অংশ তপ্ত হওয়ার দৃশ্য সামনে আসছিল।

সকাল থেকেই দফতরে ছিলেন না রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা। এদিন সকাল ১০টা নাগাদ দফতরে এসে পৌঁছন তিনি। এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কোনও প্রশ্নের উত্তর দেননি তিনি। তাঁকে একাধিক প্রশ্ন করা হয়। কিন্তু, গাড়ি থেকে নেমে কোনও জবাব দেননি তিনি। যদিও হাত তোলেন। কিছুটা আশ্বস্থ করার ভঙ্গিতেই। কবে কি ভোটের ‘মিডিল হাফ’-এ অন্য দৃশ্য দেখা যাবে? অশান্তির যে চিত্র চোখে আসছে, তাতে লাগাম পড়বে?

Rajiv Sinha

আদালতের নজরদারি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন চেয়েছিলেন আইএসএফ সুপ্রিমো নওশাদ সিদ্দিকি। হস্তক্ষেপ করল না সুপ্রিম কোর্ট।

২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে অশান্তির ঘটনা এখনও স্মৃতিতে তাজা। সেই দেদার হিংসার ঘটনা চলতি বছর বদলাতে চলেছে অনেকাংশে, এমনটাই আশা করছিলেন অনেকে। এমনকী, শুরু থেকেই কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করনোর পক্ষে সওয়াল করেছিলেন বিরোধীরা। এমনকী, এই দাবি তুলে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তাঁরা।

WB Panchayat 2023: হাজির পঞ্চায়েত নির্ঘণ্ট, বাহিনী অঙ্কে অগ্নিপরীক্ষায় কমিশন
প্রথমে শুধু স্পর্শকাতর জেলাগুলিতে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে পঞ্চায়েত নির্বাচন করা হবে, এমনটাই নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। পরবর্তীতে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছিল গোটা রাজ্যেই কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করে ভোট করাতে হবে। মামলা সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত গড়িয়েছিল। কিন্তু, কলকাতা হাইকোর্টের দেওয়া নির্দেশে কোনও রকম হস্তক্ষেপ করেনি সুপ্রিম কোর্ট।

এদিকে বিরোধীদের অভিযোগ, কেন্দ্রীয় বাহিনীকে সঠিকভাবে মোতায়েন করা হয়নি। কলকাতা হাইকোর্ট পরামর্শ দিয়েছিল, ৫০: ৫০ শতাংশ হারে কেন্দ্রীয় বাহিনী এবং পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা যেতে পারে। যদিও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেছেন কেন্দ্রীয় বাহিনী সঠিকভাবে মোতায়েন করা হয়নি রাজ্যজুড়ে।

WB Panchayat Nirbachan : এক দফাতেই পঞ্চায়েত, ‘কোনও গুরুত্ব নেই’, অধীরের আবেদন খারিজ করে বলল হাইকোর্ট
সকাল থেকেই রাজ্যজুড়ে অশান্তির ছবি সামনে এসেছে। নাকাশিপাড়া ব্লকের ধনঞ্জয়পুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ধর্মনারায়নপুর ২৩০নং বুথে বিজেপির হাতে ৭ জন তৃণমূল কর্মীর আক্রান্ত হওয়ার খবর সামনে আসছে। ভাঙড়ও সকাল থেকে তপ্ত। গুলিতে আহত দুই ISF কর্মী এবং এক তৃণমূল কর্মী। তাঁদের আর জি কর মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করা হয়েছে।

Calcutta High Court : গ্রেফতারির আশঙ্কা, রক্ষাকবচ চেয়ে হাইকোর্টে শয়ে শয়ে বিরোধী প্রার্থী!

এই ধরনের অশান্তির চিত্রে কমিশনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন বিরোধীরা। কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতিকে চিঠিও দিয়েছেন কংগ্রেস নেতা তথা আইনজীবী কৌস্তভ বাগচী।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *