Recruitment Scam : কুন্তল-তাপস আঁতাঁতে আত্মসাৎ সাড়ে ৭ কোটি? চার্জশিটে দাবি সিবিআইয়ের – cbi has mentioned in the chargesheet relationship between trinamool leader kuntal ghosh and bed college owner tapas mondal was


সোমনাথ মণ্ডল
শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় দু’জনেই আপাতত শ্রীঘরে। তবে সুযোগ পেলে একে অপরের বিরুদ্ধে টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ করতে ছাড়েননি কেউ। হুগলির বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষ এবং বিএড কলেজের মালিক তাপস মণ্ডলের সম্পর্ক কতটা মধুর ছিল চার্জশিটে তা উল্লেখ করেছে সিবিআই। সেই চার্জশিটের মূল প্রতিপাদ্য ১১ জন এজেন্ট। সেই দালালদের মাধ্যমেই চাকরির সুপারিশ এবং কোটি কোটি টাকা লেনদেন হয়েছিল এই দুই অভিযুক্তের।

Kuntal Ghosh Saayoni Ghosh : সায়নীকে টাকা দিয়েছিলাম: কুন্তল
এই দু’জনে আঁতাঁত করে কী ভাবে বাজার থেকে কোটি কোটি টাকা তুলেছিলেন, তার বিস্তারিত হিসেব প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতির চার্জশিটে পেশ করেছে সিবিআই। সূত্রের খবর, ওই এজেন্টদের মাধ্যমে তাঁরা ৭ কোটিরও বেশি টাকা তুলেছিলেন বাজার থেকে। সেই টাকার ভাগ কারা পেয়েছেন, পরবর্তী ধাপে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে সিবিআইয়ের দাবি। আপাতত ওই ১১ এজেন্ট রয়েছে সিবিআই স্ক্যানারে।

Kalighater Kaku : দু’ফোনের কথাবার্তাই কি কাকুর গলার কাঁটা
এম/এস মিনার্ভা গ্রুপ অফ ইনস্টিটিউটের চেয়ারম্যানের পাশাপাশি অল বেঙ্গল টিচার্স ট্রেনিং অ্যাচিভার্স অ্যাসোসিয়েশন (এবিটিটিএএ)-এর সভাপতি ছিলেন তাপস। সে কারণে ক্ষমতার কেন্দ্রে ছিলেন তিনি। তাঁর সঙ্গে বিএড এবং ডিএলএড কলেজ মালিকদের সম্পর্কও ছিল দুরন্ত। ২০১৪ সালের টেট পরীক্ষায় যাঁরা পাস করতে পারেননি, তাঁদের চাকরির সুপারিশ আসত তাপসের কাছেই।

Saayoni Ghosh : ইডির পরে সায়নী এবার সিবিআইয়ের নজরেও
এ ভাবে বিভিন্ন এজেন্টের থেকে টাকা তুলেছিলেন তিনি। সিবিআই চার্জশিটে দাবি করেছে, এমন ৮ জন এজেন্টের থেকে মোট ৩ কোটি ৮৯ লক্ষ ৮৫ হাজার টাকা নিয়েছিলেন তাপস। তাঁদের মধ্যে সর্বোচ্চ টাকা দিয়েছিলেন গোপালচন্দ্র সামন্ত বলে এক এজেন্ট। তিনি ৩৮ জন পরীক্ষার্থীর জন্য মোট ১ কোটি ১৮ লক্ষ টাকা নগদে দিয়েছিলেন। বাকিদের টাকাও নগদে লেনদেন হয়েছে। তা ছাড়াও সরাসরি চাকরিপ্রার্থীদের থেকেও টাকা নিয়েছিলেন কীর্তিমান। এমন ৫জন পরীক্ষার্থী নগদে দিয়েছিলেন ২৩ লক্ষ টাকা।

Saayoni Ghosh News : ‘কুন্তলের সঙ্গে লেনদেন নয়’, কোথা থেকে এল ফ্ল্যাট কেনার টাকা? বললেন সায়নী
চার্জশিটে গোয়েন্দারা দাবি করেছেন, ওই টাকার একটি অংশ তাপস কুন্তলকে দিয়েছিলেন। এর বাইরেও কুন্তলের নিজস্ব এজেন্ট ছিল বিভিন্ন জেলায়। সেই হিসেবও দাখিল করেছে সিবিআই। তারা চার্জশিটে জানিয়েছে, ২০১৬ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত চাকরির নামে ৩ কোটি ১৩ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেছেন কুন্তল। তিন জন এজেন্ট তাঁকে ৭১ জন ক্যান্ডিডেটের জন্য ওই টাকা দিয়েছিলেন। এই ঘটনায় গ্রেপ্তার হয়েছেন নীলাদ্রি ঘোষ। তিনি ২ লক্ষ টাকা তুলে কুন্তল ঘোষকে দিয়েছিলেন। চাকরি দিতে না পারায় কুন্তলের কাছ থেকে অবশ্য ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে তা ফেরতও পেয়েছিলেন।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *