West Bengal Panchayat Election : ভোট এলেই আশায় বুক বাঁধে বক্সা – residents are happy as soon as the poll workers arrive in buxa hills election 2023


এই সময়, আলিপুরদুয়ার: দিন ফেরার আশায় ভোটবাবুদের বুথে পৌঁছে দিলেন ডুকপা পোর্টাররা! আলিপুরদুয়ারের একদম উত্তর-পূর্ব দিক জুড়ে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ২৮০০ ফুট উচ্চতায় বক্সা পাহাড়ে রয়েছে ডুকপা ও গোর্খা জনজাতিদের দুর্গম বসতি। সেখানকার পাহাড়ি গ্রামগুলোর বাসিন্দারা ভোটবাবুদের দেখা পেয়ে খুশি। ভোটকর্মীদের ‘ভোটবাবু’ বলেই সম্বোধন করেন ওঁরা। ডুকপা পোর্টার ছাড়া ভোটবাবুদের পক্ষেও বুথে পৌঁছনো কঠিন।

WB Panchayat Nirbachan : ৩ হাজার ফুট উঁচুতে বুথ! ভোট করাতে পাহাড় ট্রেক করে গন্তব্য ভোটকর্মীরা
বক্সা পাহাড়ের গ্রামগুলির জন্যে বরাদ্দ মোট তিনটি বুথ। আদমা, চুনাভাটি ও বক্সা ফোর্ট। প্রতিটি বুথই জেলার কালচিনি ব্লকের রাজাভাতখাওয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত। সান্তালাবাড়ির পর থেকে উঁচু পাহাড়ে গাড়ি ওঠার পথ তৈরি হয়নি এখনও। প্রায় সাড়ে চার কিলোমিটার পথ উজিয়ে যেতে সময় লেগে যায় কমপক্ষে সাড়ে তিন থেকে চার ঘণ্টা।

Gram Panchayat Election 2023 : ফোর্স পানাগড়ে, বাস দমদমে
চড়াই-উতরাই ভরা, ধসে যাওয়া পাহাড়ি পিচ্ছিল পাকদণ্ডী বেয়েই লাঠিতে ভর দিয়ে পৌঁছতে হয় জেলার ওই তিনটি প্রত্যন্ত ও দুর্গম বুথে। সামান্য অসাবধান হলেই পাহাড়ের গভীর খাতে মৃত্যুর হাতছানি। তাই ভোটকর্মীদের সংশ্লিষ্ট বুথে পৌঁছে দিতে ব্যবহার করা হয় ওই পথে অহরহ যাতায়াতকারী দক্ষ ও অভিজ্ঞ ডুকপা পোর্টারদের। বিনিময়ে তাঁরা সরকারের তরফে সামান্য টাকাই পান। তবুও প্রতিবার ভোটের সময় ভোটবাবুদের বুথে পৌঁছে দিতে চেষ্টার কোনও ত্রুটি থাকে না ওঁদের।

Panchayat Election in West Bengal : ‘ভয়…!’ চোখে আতঙ্ক, মুখে একটাই শব্দ! ভোটের ডিউটির আগে মন আনচান কর্মীদের
এক ডুকপা পোর্টার থুঙ্গে ডুকপা বলেন, ‘সব সময় তো আর বাবুদের নাগাল পাওয়া যায় না। আমরা বছরের পর বছর ধরে কী ধরনের কষ্ট করি, তা দেখে বাবুরা যদি প্রশাসনকে জানান, যদি আমাদের কখনও দিন ফেরে, সেই আশাতেই কর্তব্য করে যাই।’ নিমা ডুকপা বলেন, ‘আজন্ম শুনে আসছি, আমাদের উন্নয়ন হবে। ভোট আসে ভোট যায়, আমরা একই রয়ে যাই।’

WB Panchayat Vote 2023: ডিউটিতে রিপোর্ট করেও মেলেনি ভাতা, ক্ষোভে ভোটকেন্দ্রে যেতে নারাজ ভোটকর্মীরা
বক্সা পাহাড়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত এক শিক্ষক ভোটকর্মী কনকলাল সিনহা বলেন, ‘এ এক নতুন অভিজ্ঞতা। পাহাড়ের এতো দুর্গম ও প্রত্যন্ত এলাকায় যে বসতি আছে, এখানেও যে ভোট গ্রহণ হয়, তা চাক্ষুষ করতে পেরে অদ্ভুত অনুভূতি হচ্ছে।’

West Bengal Panchayat Election : প্রাণ সংশয়! প্রতি বুথে একজনে নারাজ বাহিনী
পথে জোঁকের অন্ত নেই। আছে লেপার্ড ও অন্যান্য বন্যপ্রাণীদের অবাধ আনাগোনা। পথ চলতে গিয়ে বর্ষার আবহে বিভিন্ন ধরনের বিষধর সাপের দেখা মেলাটা অস্বাভাবিক নয়। হালে বক্সায় ইলেকট্রিক পৌঁছেছে বটে, তবে তার সরবরাহ অনেকটাই অনিয়মিত। তেষ্টা মেটাতে ভরসা পাহাড়ি ঝরনার জল। ভোট এলেই আশায় থাকেন এলাকাবাসী। ভোটবাবুরা এ দুর্দশার কথা জানালে যদি দিন ফেরে বক্সার!



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *