শুক্রবার দুপুরে লক্ষ্মীকে মালদার গাজোলের গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শনিবার সেখানে তিনি কন্যাসন্তানের জন্ম দেন। জানা গিয়েছে, মা এবং সন্তান দুই জনেই সুস্থ রয়েছেন। এদিকে লক্ষ্মীর সন্তান হয়েছে জেনে তড়িঘড়ি ভোট দিয়ে মা এবং মেয়েকে দেখতে আসেন তাঁর স্বামী।
খুশির হাওয়া বইছে ওই পরিবারে। এরপরেই লক্ষ্মী এবং তাঁর স্বামী পলাশ মেয়ের নাম মমতা রাখার সিদ্ধান্ত নেন।
এই প্রসঙ্গে পলাশ বৈশ্য বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের বাসিন্দাদের জন্য কন্যাশ্রী, রূপশ্রীর মতো প্রকল্প চালু করেছে। তাঁর এই প্রকল্পগুলিতে উপকৃত হচ্ছেন বহু মানুষ। কন্যা সন্তানরা যাতে পড়াশোনা করতে পারেন, তাঁরা যাতে নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারেন এবং বিয়ের জন্য পর্যন্ত সরকার ভাবনা চিন্তা করছে। আমি চাইব আগামীদিনে আমার মেয়েও তাঁর আদর্শে অনুপ্রাণিত হোক। সেই জন্যই আমি নাম রেখেছি মমতা।”
উল্লেখ্য, পলাশ পেশায় একজন রাজমিস্ত্রি। তাঁর পরিবারের সদস্যদের কথায়, “পঞ্চায়েত ভোটের দিন মেয়ে হয়েছে। বাড়ির সকলেই অত্যন্ত খুশি হয়েছিলেন। তাঁরাই বললেন ভোটের দিন মেয়ে হয়েছে। নাম রাখা হোক মমতাা। এই নামের মর্যাদা আগামীদিনে মেয়ে রাখবে বলে মনে করছি।”
লক্ষ্মীর পরিবারের কথায়, “পরিবারে মেয়ে হওয়ায় খুব খুশি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মেয়েদের জন্য অনেক কিছু করেছেন। নাতনি তাঁর নাম নিয়ে বড় হবে। এতেই আমরা খুশি।”
উল্লেখ্য, গত মে মাসে শালবনিতে তৃণমূলের নবজোয়ার কর্মসূচি অংশ নিতে যান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সময় তিনি আচমকাই শালবনি হাসপাতালে পৌঁছে যান এবং সেখানের পরিকাঠামো খতিয়ে দেখেন। সেখানে গিয়ে ‘নিউ বর্ন’ ওয়ার্ডে যান মমতা। সদ্য মা হওয়া মহিলাদের সঙ্গে কথা বলতে দেখা যায় তাঁকে।
পাশাপাশি কিছু সদ্যোজাতর নামকরণও করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি কারও নাম দেন অহনা, কারও আবার সঞ্চিতা। উল্লেখ্য, সেই দিনেই জন্মগ্রহণ করা এক সদ্যোজাতর নামকরণ করেন ‘আজ”। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “ও আজ জন্মগ্রহণ করেছে তাই ওর নাম আজ।”