জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: আগে থেকেই আশঙ্কা ছিল। আর সেটাই হল। পঞ্চায়েত নির্বাচনের সকাল থেকেই হিংসা, খুনোখুনির অভিযোগ উঠেল ক্রমাগত। গোটা রাজ্যে ভোট পড়েছে ৮০.৭১ শতাংশ। এমনটাই জানিয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে ভোট লুট, বুথ দখল, ব্যালট বাক্স নষ্ট করার খবর এলেও কমিশন জানিয়েছে এ বার পঞ্চায়েত ভোট পড়েছে এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভোট পড়েছে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর জেলা পূর্ব মেদিনীপুরে। ৮৪.৭৯ শতাংশ ভোট পড়েছে এই জেলায়। এর পরেই রয়েছে বীরভূমে। অনুব্রত মণ্ডলের গড়ে ভোট পড়ে ৮৩.১৮ শতাংশ। ভোটের হারে পিছিয়ে রয়েছে পাহাড়। দার্জিলিংয়ে ভোট পড়েছে ৬৫.৮৬ শতাংশ এবং কালিম্পংয়ে ৬৭.২১ শতাংশ।
মঙ্গলবার অর্থাৎ ১১ জুলাই, পঞ্চায়েত ভোটের গণণা। তার আগে যে সমস্ত বুথে পুনর্নির্বাচন হওয়া দরকার, সেখানে সোমবার অর্থাৎ ১০ জুলাই আবার ভোটগ্রহণ করা হবে বলে জানিয়ে দিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। সেই সঙ্গে তারা জানিয়েছে, পুনর্নির্বাচন হবে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়েই।
শনিবার রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট ছিল। যদিও সেই ভোটের ছত্রে ছত্রে রক্তের ছোপ লেগেছে বলে দাবি করেছেন বিরোধিরা। ভোটের দিনই ১৫ জনের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। এ ছাড়াও অরাজকতা, ভোট লুট, ব্যালট বাক্স নষ্ট করা, বুথ দখল, হিংসা, বোমাবাজি, গুলি চালনার অভিযোগ এনেছে বিরোধীরা। এই মর্মেই রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপি একটি চিঠি লিখে কমিশনকে জানিয়েছে, প্রায় ১০ হাজার বুথে পুনর্নির্বাচন হওয়া উচিত। যদিও সোমবার ঠিক কত বুথে পুনর্নির্বাচন তা স্পষ্ট করে জানায়নি কমিশন। কমিশন সূত্রে খবর, স্ক্রুটিনির তথ্য এখনও সব জেলা থেকে এসে পৌঁছয়নি কমিশনের হাতে। সেই তথ্যে হাতে এলেই এ বিষয়ে জানানো সম্ভব হবে। তবে রাজ্যে পুনর্নির্বাচন হবে সোমবারই, তা স্পষ্ট করে দিয়েছে কমিশন। একই সঙ্গে জানিয়েছে, পুনর্নির্বাচন হলে, তা হবে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে দিয়েই।
আরও পড়ুন: WB Panchayat Election 2023: ভোট শেষে ব্যালট বক্স পানাপুকুরে, নর্দমায়!
আরও পড়ুন: WB Panchayat Election 2023: দক্ষিণ দিনাজপুরে আক্রান্ত বিজেপি, পুলিসের সঙ্গে বচসা সুকান্ত মজুমদারের
একনজরে দেখে নিন রাজ্যের ২২টি জেলায় ভোটের হার:
আলিপুরদুয়ার – ৭৮.৫১%
বাঁকুড়া – ৮৩.০৫%
বীরভূম – ৮৩.১৮%
কোচবিহার – ৭৮.৬৮%
দক্ষিণ দিনাজপুর – ৭৯.৪৪%
দার্জিলিং – ৬৫.৮৬%
হুগলি – ৭৮.০৭%
হাওড়া – ৭৯.৩৩%
জলপাইগুড়ি – ৮১.৪৫%
ঝাড়গ্রাম – ৮২.৪৭%
কালিম্পং – ৬৭.২১%
মালদহ – ৮০.০৬%
মুর্শিদাবাদ – ৮০.৯৬%
নদীয়া – ৮০.৫৮%
উত্তর চব্বিশ পরগনা – ৮০.৪৯%
পশ্চিম বর্ধমান – ৭২.৫১%
পশ্চিম মেদিনীপুর – ৮২.৫৯%
পূর্ব বর্ধমান – ৮০.১৩%
পূর্ব মেদিনীপুর – ৮৪.১৩%
পুরুলিয়া – ৮১.৪৪%
দক্ষিণ চব্বিশ পরগণা – ৮১.৪৪%
উত্তর দিনাজপুর – ৭৯.৫৯%