জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ব্যাক-টু-ব্যাক আইসিসি বিশ্ব টেস্ট চ্য়াম্পিয়নশিপের ফাইনালে উঠেও ফিনিশিং লাইন টপকাতে পারল না খাতায়-কলমে বিশ্বের এক নম্বর টিম। তবে জীবন ও খেলার নিয়ম একটাই, অতীত থেকে শিক্ষা নিয়ে আগামীর পথে এগিয়ে যেতে হয়। ব্রিটিশভূমে বিপর্যয় অতীত। এবার টিম ইন্ডিয়া ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে খেলবে তিন ফরম্যাটে। তবে রোহিতদের ডব্লিউটিসি ফাইনালের (WTC Final 2023) ব্যর্থতা ভুলতে পারেননি সুনীল গাভাসকর (Sunil Gavaskar)। কিংবদন্তি ভারতীয় আসামীর কাগঠড়ায় তুলেছেন ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মাকেই (Rohit Sharma)। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের অনুষ্ঠানে কথা বলতে গিয়ে সানি টেনে এনেছেন ডব্লিউটিসি ফাইনালের কথা।
আরও পড়ুন: WI vs IND: ১৪০ কেজির ৬ ফুট ৬ ইঞ্চির ‘পাহাড়’ ফিরল! রোহিতদের বিরুদ্ধে দল ঘোষণা মেরুন বাহিনীর
রোহিতকে পরপর প্রশ্ন করেছেন সানি, তিনি বলছেন, ‘রোহিতকে এই প্রশ্নটি করা দরকার যে, ‘কেন ডব্লিউটিসি ফাইনালে ভারত প্রথমে ফিল্ডিং করল? টসের সময় বলা হয়েছিল যে, মেঘাচ্ছন্ন পরিবেশ রয়েছে, ইত্যাদি, প্রভৃতি। এরপর জিজ্ঞাসা করা উচিত যে, ওরা কি জানত না যে ট্র্যাভিস হেডের শর্ট বলে দুর্বলতা? ও ৮০ রান করার পর ওকে বাউন্সার দেওয়া হচ্ছিল! ট্র্যাভিস যখন ব্যাট করতে নামে, তখনই কমেন্ট্রি বক্সে রিকি পন্টিং বলছিল, ওকে বাউন্স দাও…ওকে বাউন্স দাও…সবাই জানে এটা, ভারত চেষ্টাও করেনি।’ রোহিতের অধিনায়কত্বে যে, গাভাসকর অত্যন্ত হতাশ সেটাও বুঝিয়ে দিলেন আরও একবার। তিনি বলছেন, ‘আমার রোহিতের থেকে আরও বেশি প্রত্যাশা ছিল। ভারতে খেলা অন্য ব্যাপার। তবে যখন কেউ বিদেশে ভালো করে, সেটাই হয় আসল পরীক্ষা। আর ওখানেই ও আমাকে কিছুটা হতাশ করেছে। এমনকী টি-২০ ফরম্যাটেও। ওর অধিনায়ক হিসেবে ১০০ আইপিএল ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে। আইপিএলের অন্যতম সেরা প্লেয়ার হয়েও ফাইনাল না খেলতে পারা আমার কাছে হতাশাজনক।’
রোহিত এখনও পর্যন্ত সাতটি টেস্টে দেশকে নেতৃত্ব দিয়েছেন এবং তিনটি টেস্টে পারেননি। তার মধ্যে একটি কোভিড আবহে ইংল্যান্ডে। বাকি দুইটি বাংলাদেশে চোটের জন্য। রোহিত যে সাত টেস্টে দেশের হয়ে অধিনায়কত্ব করেছেন, সেখানে তিনি ব্যাট হাতে করেছেন ৩৯০ রান। তাঁর গড় ৩৫.৪৫। নাগপুরে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ১২০ রানের ইনিংসই তাঁর শ্রেষ্ঠ। ডব্লিউটিসি ফাইনালের পর শোনা যাচ্ছিল যে, রোহিতের অধিনায়কত্ব যেতে পারে। কিন্তু ভারতীয় দলের আস্থা রোহিতের উপরেই। ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জে রোহিত শর্মা অ্যান্ড কোং ২টি টেস্ট, ৩টি ওয়ানডে ও ৫টি টি-২০ খেলতে এসেছে। আর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধেই ভারতে তৃতীয় ডব্লিউটিসি সাইকেলে ঢুকে পড়ছে। ফের লড়াই শুরু অধরা টেস্ট মেসের জন্য। আগামী ১২-১৬ জুলাই ডমিনিকার উইন্ডসর পার্কে শুরু প্রথম টেস্ট। দ্বিতীয় টেস্ট শুরু প্রথম টেস্ট শেষের চারদিন পর থেকে। ২০-২৪ জুলাই ত্রিনিদাদের কুইন’স পার্ক ওভালে দ্বিতীয় টেস্ট। এটি সিরিজ ডিসাইডার।