জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ইন্টারকন্টিনেন্টল কাপের (Intercontinental Cup) পর সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ (SAFF Championship 2023) জয়। সুনীল ছেত্রী (Sunil Chhetri)-গুরপ্রীত সিং সান্ধুদের (Gurpreet Singh Sandhu) ধন্য ধন্য করছে গোটা দেশ। তবে ভারতীয় দলের (Indian Football Team) হেড কোচ ইগর স্টিমাচ (Igor Stimac) কিন্তু আবেগের জোয়ারে গা ভাসাতে রাজি নন। মাত্র কয়েক সপ্তাহের ব্যবধানে জোড়া ট্রফি জিতলেও, স্টিমাচের দাবি এআইএফএফ-এর (AIFF) তরফ থেকে যে ভাবে ভারতীয় ফুটবল (Indian Football) চলছে, তাতে বিশেষ কিছু সাফল্য আশা করা উচিত নয়।
স্টিমাচ বলেন, “দুটি ট্রফি জিতলেও যে ভাবে ভারতীয় ফুটবল চলছে, তাতে আমি একেবারেই খুশি নই। আইএসএল খেলে ছেলেদের খারাপ অভ্যাস হচ্ছে। ফাইনাল থার্ডে গিয়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে পারছে না। যেখান থেকে গোল হবে, সেদিকে পাস দেওয়াটা ভীষণ জরুরি।” স্টিমাচ মনে করছেন, যত দ্রুত সম্ভব কিছু বিষয় বদলানো প্রয়োজন। আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে সে নিয়ে পদক্ষেপ নিলে তবেই উপকৃত হবে দল। এমনটাই মত স্টিমাচের। জাতীয় দলকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে তিনি কারও হস্তক্ষেপও চান না। সেটা মনে করিয়ে দিয়ে ইগর ফের যোগ করেন, “আমরা লম্বা করে পা বাড়াতে বাড়লে তবেই অন্য দেশের জাতীয় দলের থেকে আমাদের পার্থক্যটা কমবে। আমাদেরই ঠিক করতে হবে যে দেশের মাটিতে খেলে আর জিতেই আমরা আনন্দ করব নাকি বাইরে গিয়েও খেলব।”
আগামী বছর এশিয়ান কাপের পরেই ফেডারেশনের সঙ্গে ইগরের চুক্তি শেষ হয়ে যাবে। এর আগে নিজেকে ফের একবার প্রমাণ করার সুযোগ পাবেন ক্রোয়েশিয়ার প্রাক্তন বিশ্বকাপার। কিংস কাপ, মারডেকা কাপ ছাড়াও অনূর্ধ্ব-২৩ এশিয়ান গেমস ও বিশ্বকাপ কোয়ালিফায়ার খেলবে ভারত। কিন্তু এতগুলো প্রতিযোগিতায় দারুণ পারফরম্যান্স করার জন্য আদৌ কি পুরোপুরি প্রস্তুত?
আরও পড়ুন: Lionel Messi: মেসির অপেক্ষায় ডেভিড ব্যাকহ্যাম! মুরালে দিলেন শেষ তুলির টান, দেখুন ভাইরাল ভিডিয়ো
আরও পড়ুন: Lakshya Sen: চিনকে হারিয়ে ‘ভারত উদয়’, লি শি ফেংকে হেলায় হারিয়ে কানাডা ওপেন জিতলেন লক্ষ্য সেন
স্টিমাচ ফের বলেন, “সবার আগে কিছু জিনিসের বদল আনা দরকার। ভারতীয় ফুটবলের উন্নতি নিয়ে আমার বিশেষ কিছু পরিকল্পনা আছে। ফেডারেশনের কর্তাদের সেটা গুরুত্ব দিয়ে দেখা উচিত। জানুয়ারি পর্যন্ত অপেক্ষা করতে রাজি নই।”
দলের দায়িত্ব নিয়ে ছেলেদের নতুন ভাবে ভাবতে শিখিয়েছেন ইগর স্টিমাচ। হারের হতাশা কাটিয়ে কঠোর অনুশীলন ও নতুন স্ট্র্যাটেজি সাজিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর মন্ত্র দিয়েছেন। প্রতিভাকে মেজে-ঘষে নিয়ে খেলার সুযোগ করে দিয়েছেন। তাই দু’সপ্তাহে দু’টি আন্তর্জাতিক ট্রফি জয়ের পরও আত্মতুষ্টিতে ভুগতে রাজি নন ক্রোয়েশিয়ান কোচ। বরং তিনি বলছেন, দিল্লি এখনও অনেক দূর। ভারতকে বিশ্বমানের ফুটবল খেলতে হলে আরও অনেক পরিশ্রম করতে হবে।