দিব্যেন্দু সরকার: আজ, সোমবার পুনর্নির্বাচনের দিনে ভোটকেন্দ্রে যথারীতি ভোট চলছে, প্রচুর পুলিসও রয়েছে। তবু ভোট দিতে গেলেন না প্রায় ৮৫০ জন গ্রামবাসী! কেন? এক কথায়, আতঙ্ক! ভোটের ৪৮ ঘণ্টা পরেও আতঙ্ক তাড়া করে ফিরছে তাঁদের। হুগলির আরামবাগের হিয়াৎপুরের শেখপাড়ার ঘটনা।
আরও পড়ুন: WB Panchayat Election 2023: ‘গেলে গলাকাটা হবে সাবধান!’ হুমকি পোস্টারে মাওবাদী আতঙ্ক কোচবিহারে…
শনিবার আরামবাগের হিয়াৎপুরের শেখপাড়ায় ২৮৭ নম্বর বুথে যেভাবে মুড়ি-মুড়কির মতো বোমাবাজি হয়েছে, যেভাবে গুলি চলেছে, যেভাবে মারধর করা হয়েছে স্থানীয় ভোটারদের, তাতে সকলেই শঙ্কিত। শনিবার মারধর করা হয়েছে এমন দুজনের অবস্থা এখনও আশঙ্কাজনক। সব মিলিয়ে শেখপাড়ার বাসিন্দারা আতঙ্কে ভুগছেন। নির্বাচনের দিন এখানে ভোটকেন্দ্রের ভিতরে আক্রান্ত হন প্রিসাইডিং অফিসার। মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয় প্রিসাইডিং অফিসারের। দুপুরেই পুলিস এখানে ভোট বন্ধ করে ভোটকর্মীদের উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
আজ, রিপোলিংয়ের দিন। ফের ভোটগ্রহণ হচ্ছে, ভোট দিতে যেতে হবে। কিন্তু শেখপাড়ার বাসিন্দারা কি ভোট দিতে যাবেন? ভোট দিতে গেলে তাঁদের নিরাপত্তা দেবে কে? বাসিন্দাদের অভিযোগ, ভোট দিতে গেলে ফের রাতে তাঁদের উপর অত্যাচার শুরু হবে। তাই তাঁরা আর কোনও দিনই ভোট দিতে যাবেন না।
আরও পড়ুন: WB Panchayat Election 2023: ‘না, ভোট দেব না আমরা, ভোট দিতে গেলেই মারবে আমাদের!’ আতঙ্কিত গ্রামবাসীরা…
শনিবার নির্দল প্রার্থী ও তাঁদের এজেন্টদের ব্যাপক মারধর করে বুথ থেকে বের করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। তাই গোটা গ্রামের মহিলা ও পুরুষ উভয়েই ব্যাপক ভাবে আতঙ্কিত। ফলে এখানে কেউই আর তাই তাঁদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ভোট দিতে যাবেন না। কারণ পুলিসের উপরেও তাঁদের ভরসা নেই! এমনই আতঙ্কিত মানুষজন যে, তাঁদের দাবি, পুলিস বা কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান যদি তাঁদের এক-একজনকে সঙ্গে করে ভোটকেন্দ্রে নিয়ে যায় এবং ভোট দেওয়া হয়ে গেলে আবার বাড়ি পৌঁছে দেয়, একমাত্র তা হলেই তাঁরা ভোট দিতে যেতে পারেন! কিংবা তাঁদের পাড়ায় যে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র আছে সেখানে বুথ করে দিলে,সেখানে ভোট দিতে যেতে পারেন তাঁরা। নচেৎ তাঁরা কেউই ভোট দিতে যাবেন না।