পঞ্চায়েত ভোটের অশান্তিতে লজ্জিত! হুমায়ুনকে এক হাত নিলেন দলেরই সাংসদ


বিধান সরকার: পঞ্চায়েত নির্বাচনে রাজ্যে একের পর এক মানুষের খুনের ঘটনায় মুখ খুলেছিলেন ডেবরার তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। প্রাক্তন এই পুলিসকর্তা মন্তব্য করেন, এত মানুষের মৃত্যু আটাকানো গেল না। এটা আমাদের ব্যর্থতা। বাঙালি হিসেবে আমি মর্মাহত ও লজ্জিত। গতকাল হুমায়ুনের ওই মন্তব্যের পরই ট্যুইট করে তাঁকে বিঁধলেন আরামবাগের তৃণমূল সাংসদ অপরূপা পোদ্দার।

আরও পড়ুন-‘এত লোকের মৃত্যু মেনে নেওয়া যায় না’, মর্মাহত হুমায়ুন কবীর

নির্বাচনের দিন বিভিন্ন ঘটনায় মৃতদের মধ্যে অনেকেই শাসকদলের সমর্থক। তবে হুমায়ুন কবীরের ওই মন্তব্য স্বাভাবিকভাবেই দলের অস্বস্তির কারণ হয়ে ওঠে। এনিয়ে হুমায়ুনকে নিশানা করে সোশ্যাল মিডিয়ায় অপরূপা লেখেন, আইপিএস হুমায়ুন যা বলেছেন তা কে বলিয়েছে তা জানা খুবই সহজ। উনি যখন চন্দননগরের সিপি ছিলেন তখন চন্দননগরের তেলিনিপাড়ায় দাঙ্গা হয়। সেটা নিয়ে যদি তদন্ত হয় তাহলে কবীর সহেব ফাঁসবেন। চুঁচুড়ার বড়বড় অপরাধীরা ওঁর শরণে ছিল। সিপিএম সরকারের সময়ে উত্তর ২৪ পরগনা, মালদহ, মুর্শিদাবাদে বহু তৃণমূল কর্মী ওঁর দোষে মারা গিয়েছেন। এনিয়ে একটু মুখ খুলবেন? তখন কি বাংলায় বাঙালি থাকত না? কার কথায় আপনি এমএলএ-র টিকিট পেলেন? আপনি তৃণমূলের ক্ষতি করে তৃণমূলের বিধায়ক আছেন।     

এখানেই থেমে থাকেননি অপরূপা পোদ্দার। অপরূপা আরও লিখেছেন, আজ তৃণমূলের বিধায়ক আছে। সিপি থাকাকালীন আপনার বিরুদ্ধে শাকির আলি(কাউন্সিলর) অভিযোগ এনেছিল। তখন আপনাকে বাঁচিয়ে শাকির আলিকে বলি করা হল। আপনি সিপি হিসেবে জাল কার্বাইন ধরেছেন অপরাধীদের সঙ্গে ষড়যন্ত্র করে। সেখানে সরকারের কোনও স্বার্থ ছিল না। শুধু আপনার স্বার্থ ছিল। গত বছর আপনার বাড়িতে কী ঘটনা ঘটেছিল সেটা কি টুইট করতে হবে? আপনি সংখ্যালঘুদের মুখ হিসেবে দলকে চাপে ফেলার চেষ্টা করবেন না। আপনি বাম আমলে পুলিস অফিসার থাকাকালীন অনেক সংখ্যালঘুকে হত্যা করেছেন, মনে করে দেখুন।

হুমায়ুনের বিরুদ্ধে ওই ট্যুইট নিয়ে অপরূপা বলেন, হুমায়ুন সাহেব নিজেই বলেছেন ২০০৮ সালে মুর্শিদাবাদে নির্বাচনের দিন অনেক মানুষ খুন হয়েছিলেন। তখন কিছু বলেননি কেন? ২০১৯ সালে পুলওয়ামা হামলায় অনেক জওয়ান মারা গিয়েছিলেন। তখন কিছু বলেননি কেন? জেনে রাখবেন আমরা যা হয়েছি তা মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের জন্য। আপনি বলেছেন বর্ধমান সিপিএমের দুর্গ ছিল। আপনি কে হে মশাই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখে মানুষ তৃণমূলকে ভোট দিয়েছে। আর আপনার শ্বশুর তো সিপিএমের নেতা ছিল। পুরো বর্ধমান জানে। আপনি কার জন্য কী করেছেন সেটা মানুষ জানে আর ঈশ্বর জানে। আপনি মনে রাখবেন আপনি সংখ্যালঘুদের মুখ নন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সংখ্যালঘুদের মুখ। শুধু বাংলার নয় গোটা দেশের। যতই বিরোধীদের সঙ্গে মিলে দলের কিছু লোক ইন্ধন দিক না কেন মনে রাখবেন জনগণের পঞ্চায়েত হবে।

(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App) 





Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *