স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আহত ডালিম মণ্ডল আশঙ্কাজনক অবস্থায় কল্যাণী জেএনএম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। সোমবার বিকেলে শংকরপুর এলাকায় সিপিএমের পথ অবরোধের কারণে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয়। পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ। আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখান সিপিএম কর্মী, সমর্থকরা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ব্যারাকপুর এক নম্বর ব্লকের অন্তর্গত বেল্লে শংকরপুর চৌমাথা মোড়ে অবরোধ হয়। সিপিএম (CPIM) কর্মীকে বেধড়ক মারধর (Panchayat Post Poll Violence) করার অভিযোগ স্থানীয় কিছু তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। ঘটনাস্থলে যায় বাসুদেবপুর থানা পুলিশ বাহিনী। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করে। অবরোধকারীদের সরিয়ে দেওয়া হয়।
পানপুর কেউটিয়া গ্রাম পঞ্চায়েত ভোট লুঠ রুখে দেওয়র পর পানপুর মোড়ে আক্রান্ত হন সিপিএম কর্মী। নির্বাচনের দিন ভোট লুঠ রুখে দেওয়ায় দুষ্কৃতীদের হাতে আক্রান্ত হতে হয় তাঁকে বলে অভিযোগ। স্থানীয় সূত্রে খরব, ৩৩ বছরের ডালিম মণ্ডল পানপুর-কেউটিয়া পঞ্চায়েতের শঙ্করপুর গ্রামের বাসিন্দা। পেশায় টোটো চালক ডামিল সোমবার দুপুরে টোটো নিয়ে পানপুর মোড়ে এসেছিলেন।
অভিযোগ, ডালিমকে একা পেয়ে বেধড়ক পেটায় তৃণমূলের লোকজন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় সিপিএম (CPIM) কর্মী ডালিম কল্যাণীর জেএনএম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ঘটনার প্রতিবাদে কাঁকিনাড়া রোডের শঙ্করপুর মোড়ে রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায় সিপিএমের কর্মী-সমর্থকরা। উত্তেজনার খবর পেয়ে শঙ্করপুর মোড়ে আসে বাসুদেবপুর থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। স্বামীকে মারধর করায় ক্ষোভে লোকজন নিয়ে আহতের স্ত্রী শঙ্করপুর মোড়ে তৃণমূলের কার্যালয়ে ভাঙচুর চালায়। পরে পুলিশ অবশ্য আহতের স্ত্রীকে ওখান থেকে সরিয়ে দেয়।
সিপিএম এক সমর্থক বলেন, ‘ও ভোট লুঠ রুখে দিয়েছিল বলে ওর উপর রাগ ছিল। ওকে টার্গেট করা হয়েছিল। সেই জন্য ওর উপর আক্রমণ চালানো হয়েছে। ওকে বেধড়ক মারধর করা হয়েছে।’ এই ঘটনার প্রতিবাদেই এদিন সিপিএম কর্মীরা পথ অবরোধ করে বলে জানানো হয়েছে। পথ অবরোধের জেরে ওই অঞ্চলে কিছুক্ষণের জন্য ভোগান্তির মুখে পড়তে হয় সাধারণ যাত্রীদের। পরে পুলিশের তৎপরতায় অবরোধ উঠে যায়।