সেইদিন CPIM তৃণমূল সংঘর্ষে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় আমলাজোড়া অঞ্চলের শুকনাপাড়া অঞ্চল। বুথে ঢুকে তাণ্ডব চলে। হেনস্থার অভিযোগ ওঠে প্রিসাইডিং অফিসারকে। একই ছবি ছিল বাবনাবেড়া অঞ্চলেও। একটি বুথে বহিরাগতরা এসে ছাপ্পা দেওয়ার অভিযোগ ছিল। সেইদিন উত্তেজিত গ্রামবাসীদের তাড়া খেয়ে বহিরাগতরা পালিয়ে গেলেও তাদের ফেলে যাওয়া দুটি বাইক প্রথমে ভাঙচুর ও পরে আগুন লাগিয়ে দেন গ্রামবাসীরা। এই অঞ্চলের একটি বুথেও আজ ভোটগ্রহণ ছিল। দুটি জায়গায় পুনর্নির্বাচন বয়কট করল বামেরা।
দলের জেলা সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য জনার্দন চট্টোপাধ্যায় অভিযোগ করে বলেন, ‘যেভাবে সন্ত্রাস হয়েছে গত দিনে তাতে করে আমাদের দলের অনেক কর্মী নেতা ঘরছাড়া। গতকাল থেকেও ফের শুরু হয়েছে সন্ত্রাস। তৃণমূল বাহিনীর এই সন্ত্রাসের জেরেই আমরা ভোট বয়কটের মতো সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছি।
আগে আমাদের ঘরছাড়া কর্মীদের ঘরে ফেরাতে হবে। এই বিষয়ের আগে ভোট প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহন গুরুত্বপূর্ণ নয়’। যদিও কাঁকসা ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি ভবানী ভট্টাচার্য্য পালটা অভিযোগ করে বলেন, ‘CPIM BJP মিলে সেইদিন সন্ত্রাস করেছিল, আর হার নিশ্চিত জেনেই এখন বিরোধীরা নাটক শুরু করেছে।
আমাদের জয় এখানে নিশ্চিত। মানুষ আমাদের সঙ্গে রয়েছেন। তাই পুনরায় এখানে নির্বাচন হলেও আমরা তাতে আপত্তি জানাইনি। আর এদিকে CPIM নিজেরাই নির্বাচনের দাবি জানিয়েছিল। এখন আবার হেরে যাওয়ার ভয়ে নতুন নাটক শুরু করল। এভাবে সরকারের টাকা নয়ছয় করার কোনও মানে হয়না’।
যদিও একই অভিযোগে সরব BJP নেতৃত্বও। স্থানীয় এক BJP নেতা বলেন, ‘শনিবার থেকেই এলাকায় যথেষ্ট সন্ত্রাস সৃষ্টি করছে তৃণমূল। দিকে দিকে সাধারণ মানুষকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে, আমাদের কর্মীদের মারধর করা হচ্ছে। তবুও আমরা ভোটের লড়াইয়ে অংশ নিচ্ছি। বয়কট করিনি’।