সঞ্জয় ভদ্র ও প্রসেনজিত্ সরদার: গণনাকে কেন্দ্রকে রণক্ষেত্র ভাঙড়। পুলিস-আইএস সংঘর্ষে ভয়ংকর পরিস্থিতি। গণনাকেন্দ্রে আটকে পড়লেন আরাবুল ইসলাম ও তাঁর ছেলে হাকিমুল ইসলাম। একের পর এক বোমা বিস্ফোরণে তুলকালাম কাঁঠালিয়া অঞ্চল। পুলিস রাবার বুলেট ও কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটিয়েছে বলে অভিযোগ আইএসএফের। অন্যদিকে, তৃণমূলের দাবি আইএসএফ পুলিস ও তৃণমূল নেতাকর্মীদের উপরে হামলা চালিয়েছে। খবর পাওয়া যাচ্ছে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন অতিরিক্ত পুলিস সুপার ও তাঁর দেহরক্ষী।
আরও পড়ুন-বাংলা বদলে দিয়েছে বিরোধীদের এই স্লোগান, বিপুল জয়ের আঁচ পেতেই সরব অভিষেক
ভাঙড় ২ নম্বর ব্লকের কাঁঠালিয়া স্কুলে গণনা চলছিল। সেখানেই রাতে চলছিল জেলা পরিষদের গণনা। মোট ৩টি আসনের গণনা চলছিল। তার মধ্যে ২ আসনের ফল ঘোষণা হয়ে যায়। একটি আসনে জেতে আইএসএফ প্রার্থী। অন্যটিতে জেতেন তৃণমূল প্রার্থী। তৃতীয় আসনের কাউন্টিংয়ের সময়েই গন্ডগোলের সূত্রপাত। আইএসএফের তরফে দাবি করা হয়েছে ৫ হাজার ভোটে আইএসএফ এগিয়ে গিয়েছে বলার কিছুক্ষণের মধ্যেই তিনশোরের কিছু বেশি ভোটে তিনি হেরে গিয়েছেন বলে জানানো হয়। এতেই শুরু হয়ে যায় তৃণমূল ও আইএসএফ সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ। কাউন্টিং সেন্টারের মধ্যেই দুপক্ষের মধ্যে মারামারি শুরু হয়ে যায়। পুলিস সূত্রে খবর সেইসময় গুলি চালনার ঘটনা ঘটে যায়। তাতেই গুলিবিদ্ধ হন অতিরিক্ত পুলিস সুপার পদমর্যাদার এক অফিসার। গুলি লাগে তাঁর হাতে। তাঁকে বাঁচাতে গিয়ে তাঁর দেহরক্ষীও গুলিবিদ্ধ হন।
ওই ঘটনার পরই ঘটনাস্থলে উপস্থিত সেন্ট্রাল ফোর্সের জওয়ানরাও পাল্টা জবাব দেন। এতেই ছত্রভঙ্গ হয়ে যায় জনতা। তবে কাউন্টিং সেন্টার থেকে কিছুটা দূরে গিয়ে তারা দাঁড়িয়ে পড়ে। চারদিকে অন্ধকার। ঘনঘন বোমা পড়তে থাকে। পুলিসের ওই রিট্যালিয়েটরি ফায়ারে কেউ আহত হয়েছে কিনা তা জানা যাচ্ছে না। তবে এটা জানা যাচ্ছে যারা আহত হয়েছেন তারা এলাকা থেকে বের হতে পারেননি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে বারুইপুর পুলিস ডিরেক্টরের এসপি বিশাল একটি বাহিনী নিয়ে কাশীপুর থানায় রয়েছেন। আনা হচ্ছে আরও পুলিস। সবেমিলিয়ে পরিস্থিতি অত্যন্ত উদ্বেগজনক।
এদিকে, জানা যাচ্ছে কাঠালিয়া ঢোকার রাস্তাগুলিতে কাঠের গুঁড়ি ফেলে, ইটা, পাথর ফেলে রাস্তা আটকানোর চেষ্টা করা হচ্ছে যাতে পুলিস কাঠালিয়ার গণনাকেন্দ্র ঢুকতে না পারে।