জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: একাধিক জেলায় পঞ্চায়েত ভোট গণনা চলছে। আর এরইমধ্যে বালুরঘাটে মধ্যরাতেই পৌঁছে যান বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। কিন্তু কেন?
পরে সুকান্ত সাংবাদিকদের বলেন, “একাধিক অভিযোগ পেয়েছি। এখানে ভোট গণনাকে প্রভাবিত করা হচ্ছে। শুরুর দিকে আমরা দেখেছি যে আমরা ১৫টি সিট জেতার পর সেটা ১১টি করে দেওয়া হয়েছে। ১১টি সার্টিফিকেট তুলে নিয়ে গেল আমাদের প্রার্থীরা। সেটাও মেনে নিয়েছিলাম। এরপর আমরা আরও একটি ঘটনা দেখে অবাক হয়ে গিয়েছিলাম। কারণ ১১টি সার্টিফিকেট দেওয়া হলেও, জেলা থেকে প্রাপ্ত নথি অনুসারে বিজেপি নাকি ১০টি আসনে জিতেছে! আর তৃণমূলের হয়ে গেল ১২টি সিট!” এখানেই থেমে না থেকে তিনি আরও যোগ করলেন, “পরবর্তীকালে আমরা দেখলাম, তৃণমূলের প্রার্থী পঞ্চায়েত সমিতির ভোটে হেরে যাওয়ার পরেও তাঁকে জেতানোর চেষ্টা করা হল! এবং আমরা রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগও করেছিলাম। এছাড়া জেলা শাসককেও অভিযোগ করেছিলাম।”
জয়ী ঘোষণা হয়ে গিয়েছিল। তারপরও বিজেপি প্রার্থীকে পরাজিত ঘোষণা করা হয়েছে। এবার প্রশাসনের বিরুদ্ধেই সরব হলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। বালুরঘাটের বিডিয়ো তৃণমূলের হয়ে কাজ করছেন বলে বিস্ফোরক অভিযোগ করেন তিনি। এমনকি বিজেপির জয়ী প্রার্থীদের সই ছাড়া শংসাপত্র দেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: WB Panchayat Election 2023: তুমুল বোমবাজিতে ঘুম ছুটল ভাঙড়ের, গণনাকেন্দ্র আটকে আরাবুল-হাকিমুল
সুকান্ত ফের বলেন, “আমাদের কাছে অভিযোগ আছে যে বিডিয়ো প্রচুর ভুয়ো কার্ড তৈরি করে দিয়েছেন। সেই কার্ড গলায় ঝুলিয়ে সেই সব গুন্ডারা ভোট গণনা কেন্দ্রের ভিতরে আছে। সেখানে আমাদের এজেন্টদের ভয় দেখানোর চেষ্টা করছে।”
বালুরঘাট ব্লকের ভাটপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের ২২ টি আসনের মধ্যে বিজেপি ১৫ ও তৃণমূল ৭ টি ঘোষণা করা হয়৷ পরে দেখা যায় বিজেপি ও তৃণমূলকে ‘টাই’ করে দেওয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসন ও তৃণমূলের দুর্নীতির প্রতিবাদে মঙ্গলবার বিকেলের দিকে বালুরঘাটে ডিএম অফিসের সামনে বিক্ষোভ দেখান সুকান্ত মজুমদার। পরে এনিয়ে জেলা শাসক বিজিন কৃষ্ণার সঙ্গে দেখা করেন তিনি।
জানা গিয়েছে, ভাটপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৯ নম্বর ও ১২ নম্বর পাঠের দুই প্রার্থী মুক্তি মার্ডি ও স্বপ্না পাহানকে প্রথমে জয়ী ঘোষণা করেন। পরে আবার তাঁদেরকে পরাজিত বলে জানানো হয়েছিল। গণনা কেন্দ্রে কারচুপি হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। ব্যালটেও সইয়ের গরমিল রয়েছে বলে অভিযোগ করেন সুকান্ত। বিজেপি রাজ্য সভাপতির সঙ্গে ছিলেন তপনের বিজেপি বিধায়ক বুধরাই টুডু। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা প্রশাসনে তরফে পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।