দুপুর ১টার সর্বশেষ ফলাফল অনুযায়ী, জেলায় ইতিমধ্যেই ৯৬ টি গ্রাম পঞ্চায়েত আসন জিতে নিয়েছে তৃণমূল। সেই সঙ্গে এগিয়ে রয়েছে আরও ৩৫৪ টি আসনে। সেখানে কোচবিহার জেলায় BJP-র ঝুলিতে এখনও পর্যন্ত গিয়েছে মাত্র ৩৬ টি আসন। এগিয়ে রয়েছে ৯৮ টি আসনে। CPIM ও কংগ্রেস এখনও পর্যন্ত খাতা খুলতে না পারলেও একটি আসনে জয়ী হয়েছে বাম শরিক ফরওয়ার্ড ব্লক। তাৎপর্যপূর্ণভাবে একসময় ফরওয়ার্ড ব্লকের গড় বলে পরিচিত ছিল কোচবিহার। সেখানে CPIM-র সঙ্গে সমানে সমানে টক্কর দিত ফরওয়ার্ড ব্লক। তবে সেসব এখন অতীত।
রাজ্যে ২০১১ সালে তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর থেকে CPIM ও ফরওয়ার্ড ব্লকের শুধুই শক্তিক্ষয় হয়েছে এই জেলায়। আর ততই শক্তিশালী হয়েছে তৃণমূল। তবে এবারও কোচবিহারে নির্দল কাঁটা তৃণমূলের সাজানো বাগানে। মূলত বিক্ষুব্ধ তৃণমূলের একাংশ নির্দল হিসাবে দাঁড়িয়ে পড়েছিলেন।
তাদের মধ্য়ে ৫টি আসনে এগিয়ে রয়েছে নির্দলরা। এখনও পর্যন্ত জেলায় পঞ্চায়েত সমিতির ১৭ টি আসনে এগিয়ে রয়েছে তৃণমূল। এছাড়াও জেলা পরিষদের একটি আসনে এগিয়ে রয়েছে তাঁরা। এই দুটি জায়গাতেই এখনও জয় পাওয়া বা এগিয়ে থাকতেও পারেনি কোনও বিরোধী দল।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গোটা রাজ্যের বিপরীত চিত্র দেখিয়ে কোচবিহারের ৩১টি বুথে ফের ভোটের দাবি তুলেছিল শাসকদল তৃণমূল। পঞ্চায়েতের ভোটের মনোনয়ন পর্ব থেকেই অশান্তি দেখা গিয়েছে কোচবিহারের নানা অংশে। বিশেষত দিনহাটার প্রায় প্রতি দিন বোমাবাজি হয়েছে। প্রাণও গিয়েছে। নির্বাচনের দিন সকাল থেকেও সন্ত্রাসের ‘হটস্পট’ হিসাবে কোচবিহার শিরোনামে ছিল।
BJP এবং তৃণমূলের তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। সেই আবহের গোটা রাজ্য তথা দেশের নজর ছিল এই জেলায় যে তৃণমূল কেমন ফল করে। সেই হিসেবে দেখতে গেলে জেলায় নিজেদের প্রত্যাশার চেয়ে ভালো ফল করতে চলেছে তৃণমূল। সেই সঙ্গে কিছুটা হলেও ব্যাকফুটে ঠেলে দিয়েছে BJP-কে।