গত ২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচনে প্রথম হাওড়া জেলায় ১৬ টি আসনের মধ্যে ১৬ টি জয়লাভ করেছিল । সেই ধারায় বজায় থাকল ২০২৩ এর পঞ্চায়েত নির্বাচনে। হাওড়া জেলায় ১৪ টি পঞ্চায়েত সমিতির অধীনে ১৫৭টি গ্রাম পঞ্চায়েত রয়েছে। এরমধ্যে ১২ টি ব্লকের সমস্ত গ্রাম পঞ্চায়েত তৃণমূল দখল করেছে। সেগুলো হল আমতা ১ নং ব্লকের ১৩টি, আমতা ২ নং ব্লকের ১৪টি, উদয়নারায়নপুর ব্লকের ১১টি, শ্যামপুর ১ নং ব্লকের ১০টি, শ্যামপুর ২ নং ব্লকের ৮টি, উলবেড়িয়া ১ নং ব্লকের ১০টি,, বাগনান ২ নং ব্লকের ৭টি, পাঁচলা ব্লকের ১১টি, জগৎবল্লভপুর ব্লকের ১৪টি, সাঁকরাইল ব্লকের ১৬টি, ডোমজুড় ব্লকের ১৮টি, বালি জগাছা ব্লকের ৮টি, এই পঞ্চায়েত সমিতির গুলোর সমস্ত গ্রাম পঞ্চায়েতই দখল করে তৃণমূল।
শুধুমাত্র উলুবেড়িয়া ২ নং ব্লক ও বাগনান ১ নং ব্লকের সব গ্রাম পঞ্চায়েত দখল করতে পারল না তৃণমূল। বাগনান ১ নং ব্লকের বাইনান গ্রাম পঞ্চায়েত বিরোধীরা দখল করেছে। কংগ্রেস, আইএসএফ এবং সিপিএম জোট।এছাড়া উলুবেরিয়া ২ নং ব্লকের তেহট্ট কাটাবেরিয়া ২ নং গ্রাম পঞ্চায়েত জোট দখল করেছে। আর এই ব্লকেরই বানিবন গ্রাম পঞ্চায়েতটি ত্রিশঙ্কু অবস্থায় রয়েছে। তবে আসনের নিরিখে তৃণমূলের পরে দ্বিতীয় স্থান বিজেপি দখল করেছে এবং তৃতীয় স্থানে রয়েছে জোট।
অন্যদিকে, BJP আসন সংখ্যায় দ্বিতীয় স্থানে থাকলেও একটি পঞ্চায়েতও দখল করতে পারেনি। উলটে ২০১৮ নির্বাচনে তাদের দখলে থাকা আটটি পঞ্চায়েতে সবকটি হাতছাড়া। প্রসঙ্গত, ২০১৮ তে তারা আটটি পঞ্চায়েত পেলেও বিভিন্ন সময় হাত বদল হয়ে শেষে তিনটি গ্রাম পঞ্চায়েত তাদের দখলে ছিল। এবারে তারা একটিও দখল করতে পারল না। উলটে বাম কংগ্রেস আইএসএফ নতুন করে দুটো পঞ্চায়েত দখল করল। এর আগের নির্বাচনে হাওড়া জেলার কোনও পঞ্চায়েত বাম বা কংগ্রেসের দখলে ছিল না। যদিও বিজেপির এই করুণ হালের পেছনে তারা ব্যালটে ভোটকে দায়ী করছে বিরোধীরা। যদিও রাজ্যের জনস্বাস্থ্য কারিগরি ও পূর্ত দপ্তরের মন্ত্রী পুলক রায় বলেন, ‘ আমরা সারা বছর মানুষের সঙ্গে থাকি। স্বাভাবিকভাবেই মানুষ আমাদের সঙ্গে থেকেছে। এছাড়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার মহিলাদের কল্যাণে লক্ষীর ভান্ডার সহ বিভিন্ন প্রকল্প এবং সকলের জন্য নানা কল্যাণকর প্রকল্প রূপায়ণ করেছে।ষ স্বাভাবিক ভাবেই মানুষ আমাদের আশীর্বাদ করেছে।’