সকাল থেকেই প্রতিটা ভোট গণনা কেন্দ্রে কড়া নিরাপত্তা ছিল কেন্দ্রীয় বাহিনীর। আর সন্ধ্যে হতেই বেরিয়ে এল ফলাফল। নির্বাচন কমিশনের সর্বশেষ রিপোর্ট অনুযায়ী, জেলার বেশিরভাগ গ্রাম পঞ্চায়েত দখল করেছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। কিছু দখলে রয়েছে BJP-র। আর কয়েকটি ত্রিশঙ্কুতে অবস্থান করছে।
এর মধ্যে কালিয়াচক ২ নম্বর ব্লক ও পুরাতন মালদা ব্লক বাদ দিয়ে বাকি সব কটি ব্লকেই ভালো ফল করেছে তৃণমূল। বামনগোলা ব্লক ও ইংরেজবাজার ব্লকে একতরফা জয়ের সবাস পেয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। কালিয়াচক ২ নম্বর ব্লকে রয়েছে মোট ৯টি গ্রাম পঞ্চায়েত। এর মধ্যে উত্তর পঞ্চানন্দপুর ১ পেয়েছে কংগ্রেস।
বাকি মোথাবাড়ি তৃণমূল, উত্তর লক্ষীপুর তৃণমূল, রথবাড়ি তৃণমূলের দখলে গিয়েছে। এছাড়াও পঞ্চানন্দপুর ২, বাঙ্গীটোলা, হামিদপুর, গঙ্গাপ্রসাদ, রাজনগর ত্রিশঙ্কু হয়ে অবস্থান করছে। এদিকে, পুরাতন মালদা ব্লকের ৬টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে ভাবুক BJP, সাহাপুর BJP, মুচিয়া BJP, মঙ্গলবাড়ি তৃণমূলের দখলে গিয়েছে।
মহিষবাথানি ও যাত্রাডাঙা ত্রিশঙ্কুতে অবস্থান করছে। বামনগোলা ব্লকে গ্রাম পঞ্চায়েত রয়েছে ৬টি। সেখানে মদনাবতী গ্রাম পঞ্চায়েত, গোবিন্দপুর মহেশপুর, পাকুয়াহাট, বামনগোলা, জগদলা তৃণমূলের দখলে গিয়েছে। চাঁদপুর নিজেদের দখলে নিয়েছে BJP। অন্যদিকে, হবিবপুর ব্লকে আছে ১১টা গ্রাম পঞ্চায়েত।
সেখানে বৈদ্যপুর BJP, হবিবপুর ত্রিশঙ্কু, মঙ্গলপুরা তৃণমূল, জাজোই ত্রিশঙ্কু, শ্রীরামপুর তৃণমূল, আইহো ত্রিশঙ্কু, কানতুর্কা ত্রিশঙ্কু, বুলবুল চন্ডী তৃণমূল, ধুমপুর ত্রিশঙ্কু, ঋষিপুর তৃণমূল, আকতৈল BJP-র দখলে গিয়েছে। এদিকে, ইংরেজবাজার ব্লকে ১১টি গ্রাম পঞ্চায়েত আছে।
তার মধ্যে মহিদীপুর তৃণমূল, যদুপুর ১ তৃণমূল, যদুপুর ২ তৃণমূল, কাজিগ্রাম তৃণমূল, কোতুয়ালী তৃণমূল, অমৃতি বাম কংগ্রেস জোট, বিনোদপুর বাম কংগ্রেস জোট, মিল্কী কংগ্রেস, শোভনগর কংগ্রেস, ফুলবাড়িয়া তৃণমূল ও নরহট্টা ত্রিশঙ্কু হয়ে অবস্থান করছে। মুচিয়া অঞ্চলে BJP ৫টি আসনে তৃণমূল ৪ আসনে জয়লাভ করেছেন।
সাহাপুর অঞ্চলে তৃণমূল ২টি ও BJP ৪টি কংগ্রেস ২টি মহিষবাতানি অঞ্চলে তৃণমূল ৬ টি ও BJP ৪ টি আসন লাভ করেছে। ইতিমধ্যে মুচিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের বিকাশ সরকার, পায়েল মন্ডল ও প্রসেনজিৎ রায় জয়লাভ করেছেন। জয়ের পর তারা জানিয়েছেন এই আসনগুলো এর আগে তৃণমূলের দখলে ছিল এবারই প্রথম BJP জয়লাভ করল। তারা মানুষের সেবায় ব্যাপকভাবে অংশগ্রহণ করতে চান।