সেখানে দুটি বাদে সবকটিতেই ভোট হয়েছে। আর সর্বশেষ প্রকাশিত ফলাফল অনুযায়ী তৃণমূল দখল করেছে ২৫৫ টি। এগিয়ে আছে ৩৩০ টি তে। কিছুটা লড়াই করার চেষ্টা করেছে কংগ্রেস। তবে এই সংখ্যার ধারেকাছেও নেই অধীরের দল। এখনও পর্যন্ত কংগ্রেস জিতেছে ৫৪ টি আসনে। এগিয়ে রয়েছে আরও ১০২ টি আসনে। জেলায় তাঁদের দোসর বামেরা জিতেছে ৪৪ টি আসনে ও এগিয়ে রয়েছে ১০২ টি আসনে। জেলায় খুব খারাপ অবস্থা গেরুয়া শিবিরের। এখনও পর্যন্ত জিতেছে মাত্র ৩৮ টি আসনে ও এগিয়ে রয়েছে আরও কম, মাত্র ৮ টি আসনে। ১৪ টি আসনে জিতেছে নির্দলরা। আর এগিয়ে রয়েছে ২২ টি আসনে।
পঞ্চায়েত সমিতির ৭৪৮ টি আসনের মধ্যে এখনও পর্যন্ত তৃণমূল এগিয়ে রয়েছে ১৯ টি আসনে। খাতা খুলতে পারেনি কোনও বিরোধী দলই। জেলা পরিষদের ফলাফল এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি। যদিও জেলায় কংগ্রেসের হাল দেখে অনেকটাই অবাক রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
অধীর একাই সবেধন নীলমণির মতো সংগঠন আগলে রাখার চেষ্টা করছেন। ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে তিনটি আসনের মধ্যে একটিতে মাত্র জিতেছিল কংগ্রেস। বহরমপুর থেকে অধীর। বিধানসভা ভোটে ২২টা আসনের মধ্যে একটাতেও দাঁত ফোটাতে পারেনি। পরে অবশ্য উপনির্বাচনে সাগরদিঘি থেকে বাইরনকে পেয়েছিল কংগ্রেস।
কিন্তু তিনিও এখন তৃণমূলে। গত ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত ভোটেও দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আসনে পেয়েছিল কংগ্রেস এই জেলায়। জেলা পরিষদেও একটি আসন রাখতে পেরেছিল নিজেদের হাতে। সেখান থেকে পাঁচ বছর পেরিয়ে রাজ্যে আবার পঞ্চায়েত ভোট হয়েছে। কিন্তু কংগ্রেস যে আরও কিছুটা বেসামাল হয়েছে জেলায়।
একথা এক বাক্যে স্বীকার করছেন অনেকেই। তবে বিরোধীদের অভিযোগ, জেলায় গত দু’মাস ধরে লাগামছাড়া সন্ত্রাস করেছে তৃণমূল। মনোনয়ন দাখিল করতে দেওয়া হয়নি। জমা করলেও ভয় দেখিয়ে তোলানো হয়েছে। সেখানে দাঁড়িয়ে যে কটি আসন পাওয়া যাচ্ছে, সেটিকেই নিজেদের নৈতিক জয় হিসেবে ধরে নিচ্ছেন কংগ্রেস তথা অন্যান্য বিরোধীরা।