তিনি বলেন, ‘ভোটের দিন যথেষ্ট হিংসা ছড়ানো হয়েছে। আজ ভোট গণনার দিনেও সন্ত্রাস হিংসা ছড়ানো হল। তৃণমূল এভাবেই ক্ষমতায় থাকতে চায়।’ সেই সঙ্গে শুভেন্দু আরও বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হয়ত ভুলে গিয়েছেন সারাজীবন কেউ ক্ষমতায় থাকতে পারে না। অথচ তৃণমূল ভেবেছে এভাবে সন্ত্রাস স্ত্রিস্তি করেই সারাজীবন ক্ষমতায় থাকবে। কিন্তু কেউই পারেনি। এর আগে বামফ্রন্টও ভাবত তাঁরা অনেক বছর ধরে ক্ষমতায় থেকে যাবে। পারেনি। তার আগে সিদ্ধার্থশঙ্কর রায়, ইন্দিরা গান্ধীরাও ভাবতেন যে তাঁরাই ক্ষমতায় থেকে যাবেন সারাজীবন ধরে। তাঁরাও পারেননি। তৃণমূলও পারবে না। একদিন তাঁদেরও এই অত্যাচার, সন্ত্রাসের শেষ হবে। চিরদিন কাহার সমান নাহি যায়।’
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, আজ সকালেই তিনি পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন। আজ গণনা চলাকালীনই উচ্চ আদালতে মামলার আবেদন করেন শুভেন্দু। তাঁর দায়ের করা মামলার আবেদন গৃহীত হয়েছে হাই কোর্টে। সেই সঙ্গে তাঁর নিজের বিধানসভা কেন্দ্র নন্দীগ্রামের পঞ্চায়েতে জয় পেয়েছে BJP। স্বভাবতই এদিন আক্রমণাত্মক মেজাজে দেখা গিয়েছে রাজ্যের বিরোধী দলনেতাকে।
নন্দীগ্রাম বিধানসভা এলাকার বিভিন্ন পঞ্চায়েত ভোটের তথ্য দিতে গড়িমসি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। তিনি আরও বলেন, ‘গোটা দেশজুড়ে ভোটের নামে তৃণমূলের অপকর্মের নিন্দা হচ্ছে। দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ফোন করে ২-৩ বার খোঁজ নিয়েছেন। এমনকি গণনাতেও কারচুপি করা হচ্ছে। মানুষের রায় মানতে পারছে না তৃণমূল। তৃণমূলকে এই কারচুপির ফলাফুল ভুগতে হবে।’
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ২০১৮-র পঞ্চায়েত ভোটে নন্দীগ্রামে একচেটিয়া আধিপত্য ছিল তৃণমূলের। সেবার নন্দীগ্রাম ১ নম্বর ব্লকের ১০টি গ্রাম পঞ্চায়েতই গিয়েছিল তৃণমূল দখলে। নন্দীগ্রাম ২ নম্বর ব্লকের বাকি ৭ পঞ্চায়েতও ছিল তৃণমূলেরই দখলে। এবার ছবিটা অনেকটাই বদলে গিয়েছে।
শুভেন্দুর নন্দীগ্রামে একাধিক পঞ্চায়েত দখল করে নিয়েছে BJP। আর এই ফলাফল প্রকাশ হওয়ার পরেই প্রকাশ্যে এসে তৃণমূলকে সরাসরি হুঁশিয়ারি দিয়ে গেলেন বিরোধী দলনেতা। রাজনৈতিক মহলের মতে, আজ শুভেন্দুর করা মামলাকে ঘিরে আগামী দিনগুলিতে ফের উত্তপ্ত হতে চলেছে রাজ্য রাজনীতি।