Saugata Roy : সৌগতর ‘নিরপেক্ষ ফোর্স’ মন্তব্যে সহমত হচ্ছে না জোড়াফুল – saugata roy praises central forces to control election violence


এই সময়: পঞ্চায়েত নির্বাচনের হিংসা নিয়ে হুমায়ুন কবীরের পর এবার বেসুরো সৌগত রায়ও। তৃণমূল রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই একের পর এক নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনীর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে রাজ্যের শাসক দল। এই পঞ্চায়েত নির্বাচনেও কেন্দ্রীয় বাহিনী বিজেপির পক্ষে ভোট দেওয়ার জন্য কোনও কোনও বুথে চাপা প্রচার চালিয়েছে বলে তৃণমূলের অভিযোগ। জোড়াফুলের এই দলীয় লাইনের বাইরে গিয়ে নির্বাচনী হিংসা নিয়ন্ত্রণে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে সার্টিফিকেট দিলেন সৌগত রায়।

CV Ananda Bose : পঞ্চায়েত ভোটে হিংসা নিয়ে তপ্ত পরিস্থিতির মাঝেই বৈঠকে শাহ-বোস, আজই বড় সিদ্ধান্ত?
তৃণমূলের এই পোড়খাওয়া সাংসদ সোমবার বলেন, ‘কেন্দ্রীয় বাহিনী কিছুটা নিরপেক্ষ। লোকে তাদের ভয় পায়। লোকসভা, বিধানসভা নির্বাচনের সময়ে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকে বলেই শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হয়।’ কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন থাকলে ভোট শান্তিপূর্ণ হয় বলে মন্তব্য করার পাশাপাশি সৌগতর পর্যবেক্ষণ, ‘এই পঞ্চায়েত নির্বাচনে যদি প্রতি বুথে রাজ্য পুলিশের সঙ্গে কেন্দ্রীয় বাহিনীর একজন করে জওয়ান রাখা যেত তা হলে নিশ্চয়ই হিংসা কম হতো।’

BSF vs WB Govt: বাহিনী যে বুথে ছিল হিংসা হয়নি…চেয়েও মেলেনি স্পর্শকাতর বুথের লিস্ট: DIG BSF
কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন নিয়ে তৃণমূলের কোনও আপত্তি নেই তা ভোটের আগে স্পষ্ট করেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু কেন্দ্রীয় বাহিনী কী ভাবে পরিচালিত হচ্ছে, তা নিয়ে জোড়াফুলের সংশয় ছিল। ভোটের দিন, অর্থাৎ শনিবার তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ অভিযোগ করেছিলেন, ‘কেন্দ্রীয় বাহিনী কিছু জায়গায় বুথে দাঁড়ানো জনতাকে ফিসফিস করে বিজেপিকে ভোট দেওয়ার কথা বলেছে।’

Madan Mitra : ‘…এত টাকা খরচ হচ্ছে, সরকারি কর্মীদের ডিএ দেওয়া যেত’, বিস্ফোরক মদন
এদিন তৃণমূল নেতৃত্ব সরাসরি সৌগতর সমালোচনা করেননি, তবে তাঁর বক্তব্য যে দল সমর্থন করছে না তা বুঝিয়ে দিয়েছে। তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ শান্তনু সেনের কথায়, ‘কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরপেক্ষ ভাবেই কাজ করা উচিত। কিন্তু এই বাহিনী দিল্লি সরকারের অঙ্গুলি হেলনে চলে। কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকলেই যে শান্তিপূর্ণ ভোট হবে তার কোনও গ্যারান্টি নেই। শীতলখুচির ঘটনাই তার বড় উদাহরণ। কেন্দ্রীয় বাহিনী কেন এখনও মণিপুরে হিংসা নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না?’ তাঁর প্রশ্ন, ২০১৩ সালে মীরা পাণ্ডে রাজ্য নির্বাচন কমিশনার থাকার সময়েও কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করে তিন দফায় ভোট হয়েছিল, তারপরেও হিংসা কি নিয়ন্ত্রণ করা গিয়েছিল?

Repoll In West Bengal : আজ-কাল আরও ফোর্স রাজ্যে, তবে ব্যবহার নিয়ে ধোঁয়াশা জারি
পঞ্চায়েত ভোটের হিংসা নিয়ে রবিবার বেসুরো কথা বলেছিলেন ডেবরা তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। প্রাক্তন এই আইপিএস অফিসারের মন্তব্য ছিল, ‘ভোটের দিনে এত মানুষ খুন হলেন, আটকানো গেল না। রক্তপাতহীন নির্বাচন করা গেল না। এই ব্যর্থতা সকলের।’ সোমবার এনিয়ে তাঁকে তীব্র আক্রমণ শানিয়েছেন তাঁরই দলের সাংসদ অপরূপা পোদ্দার। তিনি এ দিন বলেন, ‘বাম আমলে ভোটে যখন হিংসা হয়েছিল, তখন চুপ ছিলেন কেন? বাঙালি হিসেবে তখন লজ্জা লাগেনি?

West Bengal Panchayat Vote: রাত পোহালেই ভোট, এয়ারলিফট করে আনা হচ্ছে বাকি কেন্দ্রীয় বাহিনী
আপনার শ্বশুর তো সিপিএমের নেতা ছিলেন। চন্দননগরের পুলিশ কমিশনার হিসেবে কতজনের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়েছেন আপনি?’ অপরূপার এই আক্রমণের মুখে এ দিন হুমায়ুন কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি। কিন্তু তৃণমূলের মুখপাত্ররা যেখানে হুমায়ুনের মন্তব্যের বিরুদ্ধে কিছু বলেননি, সেখানে অপরূপা হঠাৎ কেন তাঁকে আক্রমণ করলেন–তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে জোড়াফুলে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *