Sujata Mondal News : কথা রাখেনি আরামবাগ, পুষিয়ে দিল জয়পুর! বিপুল ভোটে জয়ী সুজাতা – sujata mondal wins in zila parishad here is what she says


বিধানসভা নির্বাচনে ধাক্কা খেতে হয়েছিল তাঁকে। ফের একবার পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিলেন সুজাতা মণ্ডল। বাঁকুড়া জেলা পরিষদের ৪৪ নম্বর আসনে জয়ী হয়েছেন তিনি। স্বাভাবিকভাবেই এই জয়ে খুশির বন্যায় ভাসছেন এই তৃণমূল নেত্রী।

সুজাতা মণ্ডলকে তৃণমূল প্রার্থী করার পরেই তাঁর দিকে কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছিলেন সৌমিত্র খাঁ। তিনি বলেছিলেন, “আমি এতদিন পাল্লা সামলে এসেছি। এবার জয়পুরের বাসিন্দারা সামলাক।” উল্লেখ্য, সৌমিত্র খাঁর স্ত্রী হিসেবেই বঙ্গ রাজনীতিতে পরিচিতি পেয়েছিলেন সুজাতা।

Sujata Mondal : পঞ্চায়েতের জন্য বিয়ে পিছোয়! ভোটের সকালে সুজাতাকে কী বার্তা ‘মনের মানুষ’-এর?
২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনের সময় সৌমিত্র খাঁর হয়ে প্রচার ব্যাটনের অনেকটাই সামলেছিলেন সুজাতা মণ্ডল, এমনটাই মন্তব্য স্থানীয় নেতৃত্বের। লোকসভা নির্বাচনে জয়ী হয়েছিলেন সৌমিত্র। যদিও একুশের বিধানসভা নির্বাচনের ঠিক আগে তৃণমূলে যোগদান করেছিলেন সুজাতা।

এরপর থেকেই সৌমিত্র-সুজাতার সম্পর্কে চিড় ধরতে শুরু করে। সেই সময় সাংবাদিকদের সামনেই কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন সৌমিত্র খাঁ। তিনি বলেছিলেন, “আমার ঘরের লক্ষ্মীকে নিয়ে গেল। আমি ওকে ডিভোর্স দেব।” প্রথমে সৌমিত্রর থেকে বিচ্ছেদ চাননি সুজাতা। পরবর্তীতে তিনি সৌমিত্রের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ এনেছিলেন।

Dudhkumar Mondal : মৌখিক প্রচারেই আস্থা, বিজেপির দুধকুমারকে ঘোল খাওয়াতে ব্যর্থ তৃণমূল
রাজনীতির হাঁড়িকাঠে বলি হয় এই সম্পর্ক। এরপর বিভিন্ন সময়ে একে অপরের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন তাঁরা। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও পরাজিত হন সুজাতা মণ্ডল। যদিও পঞ্চায়েতে নির্বাচনে তাঁর উপর ভরসা রেখেছিল তৃণমূল।

তাঁকে জয়পুর ব্লকের জেলা পরিষদের ৪৪ নম্বরের প্রার্থী করে তৃণমূল। জানা যাচ্ছে, ১৮৭০০ ভোটে জয়ী হন সুজাতা মণ্ডল। জয়ের পর সবুজ আবির খেলতে দেখা যায় তাঁকে। পাশাপাশি সাধারণ মানুষকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি। আগামীদিনে আরও তাঁর উপর আরও দায়িত্ব বাড়তে চলেছে, এমনটাই কার্যত বুঝিয়ে দিয়েছেন তিনি।

Rajya Sabha Poll : চা বাগানের কর্মী থেকে সংসদের উচ্চকক্ষ! রকেট গতিতে উত্থান TMC রাজ্যসভার প্রার্থী প্রকাশের
জয়ের খবরের পর সুজাতা মণ্ডল বলেন, “আমি বাকরুদ্ধ। তবে একটা বিষয় আমি মনে করি আজ থেকে দায়িত্ব আরও বেড়ে গেল। আরও বেশি পরিশ্রম করতে হবে, মানুষের পাশে আরও বেশি করে থাকতে হবে। দীর্ঘ ১ মাস আমি এবং আমার নেতৃত্ব অক্লান্ত পরিশ্রম করেছি। এই জয় আমার একার নয়। এই জয় আমাদের দলের, দলীয় কর্মীদের। আগামীর নেত্রীর উন্নয়ন মানুষের কাছে পৌঁছে দেব। অন্যতম সর্বোচ্চ লিড পেয়েছি। মানুষকে ধন্যবাদ।”

সুজাতা মণ্ডল এই সময় ডিজিটাল-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, ভোটের জন্য তিনি তাঁর জীবনের একটি বিশেষ দিনের তারিখ পিছিয়ে দিয়েছেন।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *