ভোট গণনা শুরু হলেও, পূর্ণাঙ্গ ফলপ্রকাশের আগেই অনেকটাই এগিয়ে তৃণমূল। উত্তর দিনাজপুর জেলার ৯টি পঞ্চায়েত সমিতির ২৯৩ টি আসন প্রার্থী সংখ্যা ১১৭৪। ৮৬টি আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
অন্যদিকে ফল প্রকাশের আগে গ্রাম পঞ্চায়েতেও অব্যাহত তৃণমূলের দাপট। ৯৮টি গ্রাম পঞ্চায়েতের ২২২০ আসনে মোট প্রার্থী সংখ্যা ৬৪৪৪। গ্রাম পঞ্চায়েতেও শাসকদলের প্রার্থীদের জয়জয়াকার। ৩০৩টি আসনে জয়ী হয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীরা। এই ফল নিঃসন্দেহে শাসকদলের কাছে বাড়তি স্বস্তির। তবে এতগুলি আসনে তৃণমূল বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
পঞ্চায়েত ভোট ঘোষণার আগে থেকেই সংবাদ শিরোনামে ছিল উত্তর দিনাজপুর জেলা। মনোনয়ন পর্বে উত্তপ্ত হয় চোপড়া। সেইখানে বাম ও কংগ্রেসের মিছিলে গুলি চালনার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা যায়। গুলি চালনার ঘটনা নিয়ে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল রাজ্য রাজনীতি।
অন্যদিকে ভোটের আগে গোষ্ঠীকোন্দলে অস্বস্তি বাড়তে থাকে তৃণমূলের। দলের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে নির্দল প্রার্থী দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন ইসলামপুরের প্রবীণ বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরী। পঞ্চায়েত নির্বাচনে ইসলামপুরের বিভিন্ন আসনে নির্দল প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন করিম অনুগামীরা। কিন্তু পঞ্চায়েত ভোটের দিন হিংসার অভিযোগ তোলেন করিমও।
অন্যদিকে ভোটের দিনও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল উত্তর দিনাজপুরের একাধিক এলাকা। বুথ দখল করতে গিয়ে চাকুলিয়া ব্লকের ২৫ নম্বর বুথে বিএসএফের গুলিতে আহত হয় একজন। নয় রাউন্ড গুলি চালানোর অভিযোগ ওঠে। অন্যদিকে হেমতাবাদে BJP কর্মীকে বিষাক্ত ইঞ্জেকশন দিয়ে খুন করার অভিযোগ ওঠে এক সিভিক ভলান্টিয়ারের বিরুদ্ধে। তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।