উল্লেখ্য, এই গ্রাম পঞ্চায়েতে তৃণমূলের প্রার্থী নির্বাচনকে নিয়ে জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়ালের সমর্থক ও চোপড়ার বিধায়ক হামিদুর রহমানের সমর্থকদের মধ্যে বিবাদ ছিল। সেই বিবাদকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের কেউই তৃণমূলের টিকিটে নির্বাচনে লড়াই করেনি। উভয় পক্ষই নির্দল প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে।
মঙ্গলবার গণনা শেষে ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের মোট ২২টি আসনের মধ্যে ১৩টি তে কানাইয়ালাল আগরওয়াল পন্থী নির্দল প্রার্থীরা জয়ী হয়। এবং ৯টি আসনে হামিদুর রহমান পন্থী নির্দল সমর্থকরা জয়ী হয়। ফলে কার্যত গ্রাম পঞ্চায়েতটি কানাইয়ালাল আগরওয়াল পন্থী নির্দল প্রার্থীদের দখলে চলে যায়।
আর এই ফলাফল ঘোষণা হওয়ার পরেই হামিদুর রহমান পন্থী নির্দল সমর্থকদের উপর চড়াও হয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় একজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তাঁকে তড়িঘড়ি ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকায়। ঘটনার খবর পেয়ে ছুটে আসে ইসলামপুর থানার পুলিশ। পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এই বিষয়ে চোপড়ার বিধায়ক হামিদুর রহমান জানিয়েছেন, ‘গুলি চালানোর ঘটনা শুনেছি। ওরা যখন বলছে তাহলে নিশ্চয়ই কানাইয়া পক্ষই গুলি চালিয়েছে। আমার ঠিক জানা নেই।’
এই ব্যাপারে জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়ালের প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি। গুলিবিদ্ধ ব্যক্তির নাম মহম্মদ ফাজিল। তাঁর এক আত্মীয় সোহেল এই বিষয়ে বলেন, ‘আমাদের উপর গুলি চালানো হয়েছে। ওদের প্রার্থী জিতে গিয়েছে বলে হামলা করেছে।’ যদিও অভিযোগকারীদের দাবি, তাঁরাও তৃণমূল সমর্থিত নির্দল।
ভোট ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই এই জেলায় শাসক দল ও শাসক সমর্থিত নির্দলদের মধ্যে প্রায়ই ঝামেলার অভিযোগ উঠেছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন রাজ্যের একাধিক প্রান্ত থেকে হিংসার অভিযোগ উঠেছে। পুনর্নির্বাচনের দিনেও ইসলামপুরের মাটিকুণ্ডা ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের ১২০ নম্বর বুথে উত্তেজনা ছড়ায়।
বুথের সামনেই বোমাবাজির অভিযোগ ওঠে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় ইসলামপুর থানার পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনী। দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেন। বোমাবাজির ঘটনায় চার জনকে গ্রেফতারও করা হয়।