সুকান্ত মজুমদার অভিযোগ করেন, ‘ এদিন একাধিক অভিযোগ এসে জমা পড়েছে আমার কাছে।’ এখানে ভোট গণনাকে প্রভাবিত করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তাঁর। তিনি বলেন, ‘শুরুর দিকে আমরা দেখেছি যে আমরা ১৫টি আসন জেতার পর সেটা ১১টি করে দেওয়া হয়েছে। ১১টি সার্টিফিকেট তুলে নিয়ে যায় আমাদের প্রার্থীরা। সেটাও মেনে নেওয়া হয়েছিল আমাদের তরফে।
তাঁর অভিযোগ, এরপর আমরা আরও একটি ঘটনা দেখে অবাক হয়ে যাই। ১১টি সার্টিফিকেট দেওয়া হলেও, জেলা থেকে প্রাপ্ত নথি অনুসারে বিজেপি নাকি ১০টি আসনে জিতেছে বলে দাবি করা হয়। তৃণমূলের হয়ে গেল ১২টি আসন। এখানেই ভোটে কারচুপির অভিযোগ তোলেন তিনি।
তিনি আরও অভিযোগ করেন, ‘পরবর্তীকালে আমরা দেখলাম, তৃণমূলের প্রার্থী পঞ্চায়েত সমিতির ভোটে হেরে যাওয়ার পরেও তাঁকে জেতানোর চেষ্টা করা হল। আমরা রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগও করেছিলাম। কিন্তু কোনও কাজ হয়নি। এমনকি জেলা শাসককেও অভিযোগ করা হয় বলেও জানান তিনি।
পাশাপাশি, বালুরঘাটের বিডিও তৃণমূলের হয়ে কাজ করছেন বলে বিস্ফোরক অভিযোগ করেন সুকান্ত মজুমদার। বিজেপির জয়ী প্রার্থীদের সই ছাড়া শংসাপত্র দেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন সুকান্ত। তাঁর অভিযোগ, বিডিও সাহায্যে প্রচুর নকল কার্ড তৈরি করা হয়েছে। সেই কার্ড গলায় ঝুলিয়ে অনেকেই গণনা কেন্দ্রে ঢুকে গুন্ডামি করছে বলে তাঁর অভিযোগ।
মঙ্গলবার মাঝ রাতে বালুরঘাট গণনা কেন্দ্রের সামনে ধরনায় বসেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। পাশাপাশি, বিজেপি রাজ্য সভাপতির সঙ্গে ছিলেন তপনের বিজেপি বিধায়ক বুধরাই টুডু। সার্টিফিকেট নিয়ে কারচুপির অভিযোগ তুলে ধরনায় বসেন তিনি।