স্থানীয় সূত্রে খবর, এক পুলিশ অফিসার সহ দুই পুলিশ কর্মী আহত। বোমা না গুলির আঘাতে তা পরিষ্কার নয়। সারারাত গণনা কেন্দ্রের মধ্যেই আটকে ছিলেন ভোট কর্মী থেকে পুলিশ সাংবাদিক সহ সকলেই। পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী এসে সবাইকে উদ্ধার করে।
সকাল সকাল ঘটনাস্থলে এসেছেন উচ্চপদস্থ পুলিশ অফিসাররা। বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন আছে গোটা এলাকায়। ভাঙড়ের কাঠালিয়া গণনা কেন্দ্রে এল এডিজি সাউথ বেঙ্গল সিদ্ধিনাথ গুপ্তা। আপাতত থমথমে পুরো এলাকা। নতুন করে কোথাও অশান্তির খবর নেই। সকাল থেকেই ধড়-পাকড় শুরু করেছে পুলিশ।
অ্যাডিশনাল এসপি এবং তাঁর গার্ড এসেছে আরএন টেগোরে। অ্যডিশনাল এসপি-র হাতে গুলি লেগেছে। হাতের ভিতরে গুলি আছে এখনও। তাঁর গার্ডের পায়ে গুলি লেগেছে। দু’জনেরই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
অন্যদিকে, মৃত হাসান আলী মোল্লা নামে এক আইএসএফ কর্মী। ISF সূত্রে খবর, তাঁদের ৪ জন কর্মী গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গিয়েছে। সরকারি সূত্রে এখনও কিছু পাওয়া যায় নি। গতকাল রাতের ঘটনার পর থমথমে রয়েছে ভাঙড় ২ নম্বর ব্লকের কাঠালিয়া হাই স্কুল চত্বর। গণনা কেন্দ্রের সামনে ভাঙ্গড় কাশিপুর রোড জুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে ইটের টুকরো।
বেশ কিছু পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। গুলিবিদ্ধ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হেডকোয়ার্টার মাকসুদ হাসান ও তার দেহরক্ষীকে কলকাতায় চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি এক আইএসএফ কর্মীকেও চিকিৎসার জন্য কলকাতায় পাঠানো হয়েছে। অসমর্থিত সূত্রে খবর দুজন আইএসএফ কর্মীর মৃত্যু হয়েছে।
মঙ্গলবার রাতে ভাঙড় ২ ব্লকের দুটি জেলা পরিষদের আসনের ফল ঘোষণা নিয়ে গণ্ডগোলের সূত্রপাত হয়। কিছুক্ষণের মধ্যেই গণনার মাঝেই পুলিশের সঙ্গে বিবাদ বাঁধে আইএসএফ-এর। গণনাকেন্দ্রের বাইরেও বাড়তে থাকা ভিড় আইএসএফ কর্মীদের। শুরু হয়ে যায় বোমাবাজি। শুধু কাঠালিয়াতেই নয়। শানপুকুরের চণ্ডীহাট গ্রাম ও চালতাবেড়িয়া এলাকাতেও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।