২৩ বছর বয়সী এই তরুণী হিলি থানার কনিষ্ঠ প্রার্থী ছিলেন। উচ্চতা প্রায় ২ ফুট। এমন একজনকে তৃণমূল প্রার্থী করে চমক দিয়েছিল। ‘দিদি’র আদর্শকে পাথেয় করে তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিলেন হিলি গভর্নমেন্ট কলেজের শেষ বর্ষের ছাত্রী চুমকি। বাবা চঞ্চল ঘোষ। হাটের ছোট ব্যবসায়ী। মা চিত্রা ঘোষ গৃহবধূ। চুমকির এক বোন ছিল। তার বিয়ে হয়ে গেছে। পড়াশুনাতেও পারদর্শী চুমকি। হিলি ব্লকের ধলপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েত চকমোহনের তৃণমূল প্রার্থী চুমকি ঘোষকে নিয়েই ভোটের আগে ব্যাপক আলোড়ন পড়ে। শারীরিক প্রতিবন্ধকতা জয় করেই পঠনপাঠনের পাশাপাশি ভোট প্রচার করেছিল।
এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে চুমকি পেয়েছিল ৩৪০ ভোট। সেখানে বিজেপি প্রার্থী জ্যোৎস্না ঘোষ ৪১৬ ভোট পেয়েছেন। ৭৬ ভোটে পরাজিত হন চুমকি। ভোটে পরাজয়ের কারণে মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়েছেন এই কনিষ্ঠ প্রার্থী। গণনা শুরুর আগে পর্যন্ত সকলে বলেছিল সে জিতবে। কিন্তু তা তো আর হয়নি।
এবিষয়ে চুমকি বলেন, ‘মানুষের পাশে থাকা ও তাদের হয়ে কাজ করার জন্য রাজনীতিতে নেমেছিলেন। ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন। কিন্তু, জিততে পারেনি। মানুষই যদি আমাকে না চায় তাহলে রাজনীতিতে থেকে কী করব! আমার সব স্বপ্ন ভেঙে গিয়েছে। আমাকে লোক ভরসা করল না। লোক চায়নি আমি জিতি। এমনকি দলের অনেকেও শেষে চায়নি আমি জয়ী হই। কারও কাছে কিছু বলার নেই। আমি আর রাজনীতি করব না।’
যদিও এবিষয়ে বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক বাপি সরকার বলেন, ‘মানুষ যাকে চেয়েছে সেই জয়ী হয়েছে। তবে ওর প্রতি আমাদের সকলের সহানুভূতি আছে।’