এমনকি মাথা দিয়ে অঝোরে রক্ত বের হলেও চিকিৎসা না করাতে যাওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। বাড়িতেই কোনওরকমে তিনি বসেছিলেন মাথায় কাপড় বেঁধে। এই খবর জানতে পেরে আরামবাগের তৃণমূল নেতা স্বপন নন্দী তড়িঘড়ি গাড়ি নিয়ে মলয়পুরের পূর্বপাড়া যান। তৃণমূল নেতার গাড়িকে লক্ষ্য করে BJP আশ্রিত দুষ্কৃতীরা প্রথমে গুলি চালায় বলে অভিযোগ।
তারপরই BJP কর্মী সমর্থকেরা গাড়ি ভাঙচুর করে। সেখান থেকে কোনওরকমে তৃণমূল নেতা স্বপন নন্দী ও তাঁর গাড়ির ড্রাইভার পালিয়ে প্রাণে বাঁচেন। তারপর তৃণমূল অনুগামীরা ওই এলাকায় গেলে চরম রাজনৈতিক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
কোনওরকমে গুরুতর আহত শ্যাম সুন্দরের বাবাকে গাড়ি করে নিয়ে এসে আরামবাগ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এই বিষয়ে গুরুতর আহত তৃণমূল প্রার্থীর বাবা নিমাই গোয়াল বলেন, ‘পিছন থেকে লাঠি না রড দিয়ে মারল বুঝতে পারিনি। ছেলে তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছিল বলে মারধর করে। ১৫ – ১৬ জন মিলে মারধর করে’।
অপরদিকে আরামবাগের তৃণমূল নেতা স্বপন নন্দী বলেন, ‘আমাদের তৃণমুল প্রার্থীর বাবাকে মারধরের খবর পাই। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি হতে বাধা দেয় BJP। তাই তাঁকে উদ্ধার করে আনার সময় BJP-র কর্মীরা আমার গাড়ি ভাঙচুর করে। ড্রাইভার আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি। আমি গাড়ির ভিতরে ছিলাম।
রড, বন্দুক, লাঠি বাঁশ দিয়ে আক্রমণ করা হয়’। অন্যদিকে আরামবাগের BJP বিধায়ক মধুসূদন বাগ বলেন, ‘সন্ত্রাসের বাতাবরনে ভোট হয়েছে। আরামবাগেও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। আজকের ঘটনার সঙ্গে আমাদের দলের কোনও সম্পর্ক নেই। সম্পুর্ন ভাবে মানুষের প্রতিরোধের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে’।
স্বপন নন্দীর গাড়ি ভাঙচুর প্রসঙ্গে বলেন, ‘কি হয়েছে জানি না। এটা তৃণমুলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। BJP কর্মীরা ঘর ছাড়া। তাঁরা কিভাবে মারবেন! এটা গ্রামের মানুষের প্রতিবাদ’। সবমিলিয়ে আরামবাগের মলয়পুরে রাজনৈতিক সংঘর্ষের ঘটনায় এলাকার মানুষ যথেষ্ট আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন।