খবর পেয়ে আমাদের গ্রামের লোক ঘটনাস্থলে পৌঁছলে তাঁদেরকেও বেধড়ক মারধর করা হয়। পুরুষ মহিলা সকলকেই মারধর করে তৃণমূলের লোকজনেরা’। তিনি আরও বলেন, ‘ভোটের ফল বেরোনোর পর গতকাল রাত থেকে আমাদের গ্রামে তাণ্ডব চালিয়েছে তৃণমূল। আমরা তৃণমূলকে ভোট দিইনি বলেই আমাদেরকে আক্রোশবশত এই মারধর করা হয়েছে’। জানা গিয়েছে, এই ঘটনায় গুরুতর জখম হয়েছেন প্রদীপ পট্টনায়েক, বাদল দে, চন্দ্রকান্ত দে, স্বর্ণলতা দে, অভিজিৎ দেহুরী, জোৎস্না দন্ডপাট, রঞ্জু দন্ডপাট, উমা গুই।
এই জখম মানুষেরা সবাই ঝাড়গ্রাম মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। বিদ্যুৎ দে তপশিয়া হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। প্রদীপ, চন্দ্রকান্ত, বাদল, স্বর্ণলতা, বিদ্যুৎ এই কজনের মাথা ফেটেছে। বাদল দে-র মাথা, পা, হাত ও বুকের পাঁজরা ভেঙে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। প্রদীপ, অভিজিতের হাত ভেঙেছে।
ঘটনার পর এলাকা থমথমে রয়েছে। মোতায়েন করা হয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। গ্রামে টহল দিচ্ছে কেন্দ্রীয় বাহিনী ও বেলিয়াবেড়া থানার পুলিশ। যদিও এই মারধরের ঘটনা সম্পূর্ণভাবে অস্বীকার করেছে তৃণমূল। গোপীবল্লভপুর দু’নম্বর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের ব্লক সভাপতি টিঙ্কু পাল বলেন, ‘এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূল কোনওভাবে যুক্ত নয়।
নির্দলরা এলাকায় হেরে গিয়েছে তাই তৃণমূলের নাম বদনাম করার জন্য পরিকল্পিতভাবে এই ঘটনা ঘটিয়েছে। নির্দলের লোকরাই ওই এলাকায় আমাদের তৃণমূলের কর্মী সমর্থকদের উপর হঠাৎ করে চড়াও হয়, পরে গ্রামবাসীরা প্রতিরোধ করেন। আমরা এই এলাকায় ব্যাপকভাবে জয়লাভ করেছি।
ফলে আমাদের গণ্ডগোল করার কোনও প্রশ্নই ওঠে না’। সেই সঙ্গে তিনি আরও বলেন, ‘এই এলাকায় মারামারি তো দূরের কথা, একটা ছাপ্পা ভোট দেওয়ার অভিযোগও কেউ আমাদের বিরুদ্ধে তুলতে পারবেন না। শনিবার যথেষ্ট শান্তিপূর্ণ ভোট হয়েছে, আর তাতেই নির্দলরা হেরে গিয়েছে’।