অবশেষে পাঁচ বছর পর আবার হল পঞ্চায়েত নির্বাচন। গতবার যে পঞ্চায়েত সমিতিতে সংখ্যাগরিষ্ঠ ছিল বিজেপি, এবার সেই পঞ্চায়েত সমিতি গিয়েছে তৃণমূলের দখলে। আসন পুনর্বিন্যাসের ফলে এবার কেশিয়াড়ি পঞ্চায়েত সমিতিতে আসন সংখ্যা ছিল ২৭। মঙ্গলবার নির্বাচনের ফল ঘোষণার পরই দেখা যায় ২৩টি আসনে গিয়েছে তৃণমূলের ঝুলিতে। চারটি আসন নিজেদের দখলে ধরে রাখতে পেরেছে বিজেপি। স্বাভাবিকভাবেই, একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে কেশিয়াড়ি পঞ্চায়েত সমিতি গঠনে কোনও বাধা থাকছে না শাসক দল তৃণমূলের কাছে।
কী বলছে তৃণমূল?
এই বিষয়ে জেলা তৃণমূলের সভাপতি সুজয় হাজরার দাবি, একদিকে সাংগঠনিক দুর্বলতা ও অন্যদিকে বিজেপির জয়ী প্রার্থীরা কাজ না করার জন্য পাঁচ বছরে পিছিয়ে পড়েছে কেশিয়াড়ি। বোর্ড গঠনের পর থেকেই কী ভাবে কেশিয়াড়িকে উন্নয়নের চূড়ান্ত শিখরে নিয়ে যাওয়া যায় তা নিয়ে ভাবনাচিন্তা শুরু হয়েছে।
যা বলছে বিজেপি…
অন্যদিকে বিজেপির দাবি, কেশিয়াড়িতে যেখানে গতবার তারা জিতেছিল, এবার সেখানে জোর করে হারানো হয়েছ। এই বিষয়ে বিজেপির সর্বভারতীয় সহসভাপতি দিলীপ ঘোষের অভিযোগ, গণনা পর্বে ভোট লুট করা হয়েছে।
তবে রাজনৈতিক তরজা যাই থাকুক না কেন, গত পাঁচ বছর পঞ্চায়েত সমিতি গঠন না হওয়ার কারণে সেখানকার মানুষই সবচেয়ে বেশি বঞ্চিত হলেন বলেই দাবি স্থানীয় বাসিন্দাদের অনেকের। এবার ফের একবার নতুন বোর্ড গঠন হওয়ার কথা। সেক্ষেত্রে দেখার নতুন বোর্ড আগামী ৫ বছরে বিগত দিনগুলির ঘাটতি পূরণ করতে পারে কি না। আপাতত সেই আশাতেই বুক বাঁধছেন কেশিয়াড়িবাসী।