তাঁদের ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এবং বিধায়ক সহ তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁদের শিলিগুড়িতে একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়েছে। তারই প্রতিবাদে বুধবার ৩১ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে চোপড়ার তৃণমূল নেতৃত্ব।
তাঁদের দাবি, বিনা প্ররোচনায় অকারণে বিধায়কসহ তাঁর অনুগামীদের ওপর লাঠিচার্জ করে পুলিশ। অভিযুক্ত পুলিশ অফিসারদের অবিলম্বে শাস্তির দাবি তুলেছে বিক্ষোভকারীরা। এই বিষয়ে চোপড়ার তৃণমূল ব্লক সভাপতি প্রীতি রঞ্জন ঘোষ বলেন, ‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে বিধায়কের উপর এই হামলা চালানো হয়েছে।
তিনি ওখানে রাতে গণনা কেন্দ্র দখল করতে যাননি। গণনা কেন্দ্রে থাকা ভোটকর্মী থেকে শুরু করে তাঁর অনুগামীদের কোনও অসুবিধে হচ্ছে কিনা সেসবের খোঁজ নিতে গিয়েছিলেন। আর সেই সময়েই তাঁকে ও বেশ কিছু লোককে মারধর করা হয়। আজ তাঁরা ওই কারণে হাসপাতালে ভর্তি। দোষী পুলিশদের কড়া শাস্তি চাই আমরা’।
দীর্ঘক্ষণ জাতীয় সড়ক অবরোধের ফলে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে চোপড়া থানার পুলিশ। পুলিশি আশ্বাসে প্রায় দুই ঘণ্টা পরে অবরোধ তুলে নেয় স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। জানা গিয়েছে, উত্তর দিনাজপুর জেলা পরিষদের ৪ নম্বর আসন থেকে নির্দল প্রার্থী হয়েছেন হামিদুলের মেয়ে আরজুনা বেগম।
ভোটগণনার সময় ফল দেখার জন্য অনুগামীদের নিয়ে গণনাকেন্দ্রে ঢোকার চেষ্টা করেন চোপড়ার তৃণমূল বিধায়ক । সেইসময় তাঁকে বাধা দেওয়া অভিযোগ ওঠে তৃণমূলেরই কয়েকজনের বিরুদ্ধে । বচসা, মারধর শুরু হয় । এরপরই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ লাঠিচার্জ করে বলে অভিযোগ । তাতেই বিধায়ক আহত হন বলে জানা গিয়েছে।
উত্তর দিনাজপুরে হামিদুলের অনুগামীদের ওপর তৃণমূলের ব্লক সভাপতি জাকির হোসেনের সমর্থকরা হামলা চালান বলেও অভিযোগ উঠেছে। ঘটনায় হামিদুল রহমানের সমর্থক হিসেবে পরিচিত এক ব্যক্তি গুলিবিদ্ধ হন বলে অভিযোগ। সব মিলিয়ে দলের মধ্যেই বেশ চাপের মুখে রয়েছেন চোপড়ার বিধায়ক।