ইসলামপুরের বিধায়ক বলেন, ‘পঞ্চায়েত ভোটে ইসলামপুরে একাধিক জায়গায় রাজনৈতিক হিংসা হয়েছে। পুলিশ প্রশাসনকে জানানো সত্বেও পুলিশ তার কথায় গুরুত্ব দেয়নি।’ তাঁর অভিযোগ, ইসলামপুরের তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল এবং ব্লক সভাপতি জাকির হোসেন সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপে যুক্ত হলেও দল তার বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ গ্রহন করেন নি।
নির্বাচনে অশান্তির জেরে মৃতদের পরিবারকে ২ লাখ টাকা ও পরিবার প্রতি একজনের চাকরি দেওয়ার কথা গতকালই ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । এ প্রসঙ্গে করিম বলেন, ‘মমতার এই প্রলোভনের জন্য আগামীতে মানুষ মরনঝাঁপ দেবে।’ এগুলো না করে মমতা নির্বাচন পিছিয়ে দিতে পারতেন বলেও জানান করিম চৌধুরী।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের শুরু থেকেই দলের বিরুদ্ধে আক্রমণ করতে শোনা গিয়েছে ইসলামপুরের দিকে। জেলায় নব জোয়ার কর্মসূচিতে তাঁর বাড়িতে যাওয়ার কথা ছিল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বলে দাবি করেন তিনি। অভিষেক না যাওয়ায় দলের বিরুদ্ধে উষ্মা প্রকাশ করেন। এরপর থেকেই লাগাতার দলের বিরুদ্ধে কথা বলতে শোনা যায় তাঁকে।
তাঁর মনোনীত প্রার্থীদের পঞ্চায়েত নির্বাচনে লড়াই করার সুযোগ দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেন তিনি। প্রকাশ্যে তাঁকে তৃণমূল বিদ্রোহী নির্দল প্রার্থীদের সমর্থন করতে দেখা যায়। এমনকি তাঁদের প্রচারেও অংশ গ্রহণ করেন আব্দুল করিম চৌধুরী। এরপর তিনি ফের ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে সরব হলেন।
তাঁর বক্তব্য, পঞ্চায়েত ভোটে উত্তর দিনাজপুর জেলায় ইসলামপুরে একাধিক জায়গায় রাজনৈতিক হিংসা হচ্ছে। অথচ পুলিশ প্রশাসনকে জানানো সত্বেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না বলে তাঁর দাবি। তবে তাঁর এই মন্তব্য নিয়ে দলের জেলা নেতৃত্বের তরফে এখনও কিছু জানানো হয়নি।