পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের রিপোর্ট চান রাজ্যপাল। মোট ১০ দফা প্রশ্ন লিখেছেন নির্বাচন কমিশনারের কাছে। ১) অনেকেই আমার কাছে জানিয়েছে গোটা নির্বাচন প্রক্রিয়াটি বাতিল করা উচিত এবং কলকাতা হাইকোর্টের নজরদারিতেই নির্বাচন পরিচালনা করা উচিত এই বিষয়ে কমিশনারের মত কি তা জানতে চান রাজ্যপাল।
রাজ্যপাল আরও জানতে চান, ২) ১০ তারিখ রাজ্যজুড়ে ৪৫০০টি সেনসিটিভ বুথেই পুনর্নির্বাচন হবার প্রয়োজন ছিল শুধুমাত্র ৬৯৭ টি বুথে মধ্যেই সীমাবদ্ধ হওয়া উচিত ছিল না। ৩) নির্বাচন পরবর্তী পরিস্থিতিতে রুটমার্চ এবং প্রিভেন্টিভ অ্যারেস্ট প্রয়োজন রয়েছে।
এছাড়াও প্রশ্ন করা হয় – ৪) রাজ্য প্রশাসনকে এলার্ট করতে হবে নির্বাচন পরবর্তী পরিস্থিতিতে। ৫) রাজভবনের তরফে ২ হাজারের মতো অভিযোগ দেওয়া হয়েছে কি পদক্ষেপ নিল কমিশন? ৬) অনেক কুখ্যাত দুষ্কৃতীরা ঘুরে বেড়াচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে কি পদক্ষেপ? এইরকম ভাবেই মোট ১০ দফা প্রশ্ন লিখে রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের থেকে উত্তর চান রাজ্যপাল বলেই সূত্রের খবর।
প্রসঙ্গত, দুদিন আগেই দিল্লি সফরে গিয়েছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। দিল্লিতে গিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। বাংলায় পঞ্চায়েত নির্বাচনে সন্ত্রাসের আবহেই তিনি দিল্লিতে গিয়ে বৈঠক করেন। তারপর রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে এহেন রিপোর্ট চেয়ে পাঠানো যথেষ্ট ইঙ্গিতপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
উল্লেখ্য, পঞ্চায়েত নির্বাচনের শুরু থেকেই যথেষ্ট সক্রিয় দেখা যায় রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে। অশান্ত, উপদ্রুত অঞ্চল পরিদর্শন থেকে শুরু করে নির্বাচনের দিন বিভিন্ন জায়গায় যান রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। এমনকি দক্ষিণবঙ্গ থেকে উত্তরবঙ্গ একাধিক জায়গায় পরিদর্শন করেন তিনি। রাজ্যপালের ভূমিকা নিয়ে কড়া সমালোচনা করতে শোনা যায় তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্বকে।
যদিও পঞ্চায়েত নির্বাচনে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়ে যে যথেষ্ট সন্তুষ্ট নয়, সেটা আগেই আঁচ করা হয়েছিল। এমনকি সঠিক সময়ে তিনি সঠিক পদক্ষেপ নেবেন বলেও আগেই জানিয়েছিলেন। এমনকি দিল্লি থেকেও ফিরে রাজ্যপাল ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করে বলেন, রাতের অন্ধকারে পরেই ভোরের আলো আসার কথা।