বিএসএফের তরফে জানানো হয়েছে, উদ্ধার হওয়া সাপের বিষের (Snake Venom Smuggling ) বাজার মূল্য প্রায় ১২ কোটি টাকা৷ শুক্রবার বিএসএফের তরফে সাপের বিষ ভর্তি জার বালুরঘাট বন দফতরের হাতে তুলে দেওয়া হয়। সাপের বিষ পাচারের ঘটনা কে বা কারা যুক্ত রয়েছে তা খতিয়ে দেখছে বিএসএফ ও বালুরঘাট বন দফতর।
বিএসএফ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, গোপন সূত্রে খবর মারফত হিলি থানার উত্তর আগ্রার ভারত বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকায় তল্লাশি চালায় ৬১ নম্বর ব্যাটেলিয়ন বিএসএফের জওয়ানরা। বাংলাদেশের সংবাদপত্র দিয়ে মোড়ানো একটি বস্তু উদ্ধার হয়। তারপরেই বস্তুটি থেকে সংবাদপত্র সরাতেই বেরিয়ে আসে সাপের বিষ ভর্তি জার।
তবে এবারে তরল সাপের বিষ উদ্ধার হয়েছে। সাপের বিষ (Snake Venom Smuggling ) উদ্ধার হলেও এই ঘটনায় কাউকে পাকড়াও করতে সক্ষম হয়নি বিএসএফ৷ বিএসএফ আরও জানিয়েছে, ২৮ সেমি উচ্চতা বিশিষ্ট জারটি ফ্রান্সে নির্মিত। সেখান থেকে চোরা পথে বাংলাদেশ হয়ে ভারতে পাচারের চেষ্টা করা হচ্ছিল।
কিন্তু চোরাপথে তল্লাশি চালিয়ে পাচারের ছক বানচাল করল বিএসএফ। ওই জারটির ওজন ২ কেজি ৪৬০ গ্রাম৷ ওই সাপের বিষ ভর্তি জারের আন্তর্জাতিক কালো বাজার মূল্য ১২ কোটি টাকা বলে দাবি বিএসএফের। তবে ওই জারে কোন প্রজাতির সাপের বিষ ভর্তি ছিল, তা এখনও নিশ্চিত করতে পারেনি বিএসএফ কর্তারা।
এবিষয়ে বালুরঘাট বনদপ্তরের রেঞ্জার সুকান্ত ওঝাঁ বলেন, বিএসএফের ৬১ নম্বর ব্যাটেলিয়নের পক্ষ থেকে সাপের বিষ ভর্তি একটি জার তুলে দেওয়া হয়েছে। আদালতের মাধ্যমে সাপের বিষের নমুনা সংগ্রহ করে তা পরীক্ষার জন্য মুম্বাইয়ে পাঠানো হবে। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
জেলার সীমান্ত পার (Smuggling in West Bengal) করে একাধিক বহুমূল্য জিনিস, নিষিদ্ধ জিনিস পাচারের ঘটনা নতুন নয়। এর আগেও বিএসএফের প্রচেষ্টায় একাধিকবার পাচারের আগেই বিভিন্ন জিনিস উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার হিলি সীমান্ত ব্যাবহার করে পাচারকারী বেআইনি পাচার চালিয়ে যাচ্ছে দীর্ঘদিন। তবে পাচারকারীদের ধরতে বিএসএফ সব সময় প্রস্তুত রয়েছে বলে জানান হয়েছে।