জানা যায়, এক নম্বর নতুন ফুলিয়ার বাসিন্দা অরবিন্দ প্রামাণিক দীর্ঘদিন সিপিআইএম দলের একজন একনিষ্ঠ কর্মী ছিলেন। এছাড়াও বেলঘড়িয়া এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের তিনবার গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য ও একবার পঞ্চায়েত সমিতিতে সিপিআইএমের প্রার্থী হিসাবে জয়লাভ করেছিলেন। এবছর নিজের ওয়ার্ডে মহিলা প্রার্থী হওয়ার কারণে পাশের ২৪৫ নম্বর বুথে গিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন পঞ্চায়েত নির্বাচনে।
পরিবার সূত্রে জানান হয়, শান্তিপূর্ণভাবে ভোট মিটলেও ১১ তারিখ ভোটের ফলাফলের পর মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন অরবিন্দ প্রামাণিক। এরপরই পরের দিন অর্থাৎ ১২ তারিখ সকালে ঘাস মারার কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যা চেষ্টা করেন। তড়িঘড়ি পরিবারের লোকজন রানাঘাট মহাকুমা হসপিটালে নিয়ে গেলে চিকিৎসার অবনতির হলে স্থানান্তরিত করা হয় কল্যাণী জহরলাল নেহেরু হাসপাতালে।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, আজ সকালে হাসপাতালেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। এদিন সিপিআইএম পার্টি অরবিন্দ প্রামাণিকের মৃত্যুর খবর চাউল হতেই এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া। স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, ‘ উনি সিপিএমের প্রার্থী ছিলেন। খুব কম ভোটে উনি হেরে গিয়েছেন। এরপর থেকে উনি ভেঙে পড়েছিলেন। অবসাদ থেকেই হয়তো আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন।’
নদিয়া জেলায় পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভালো ফল করতে দেখা যায় শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসকে। নদিয়া জেলায় গ্রাম পঞ্চায়েত স্তরে তৃণমূল ১২৩টি, বিজেপি ৪৪টি, কংগ্রেস ০৭টি এবং ত্রিশঙ্কু ১১টি আসন পায়। জেলা পরিষদ ৫২টি আসনের মধ্যে তৃণমূল ৪৬টি, বিজেপি ০৬টি আসন পায়। পঞ্চায়েত সমিতিতেও বিরোধীদের অনেক পেছনে ফেলে এগিয়ে যায় তৃণমূল কংগ্রেস। সর্বোপরি এই জেলা থেকে বিরোধীদের প্রায় ধুয়ে মুছে সাফ করে দেয় শাসক দল। যদিও নির্বাচনে অশান্তি পাকিয়ে, ভোট লুঠ করে জিতেছে শাসক দল বলে দাবি বিরোধীদের।